লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা
৩৯৫১-[১৫] কয়স ইবনু ’উববাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ যুদ্ধের সময় হৈ-হুলেস্নাড় বা হট্টগোল করাটা অপছন্দ করতেন। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن قيسِ بنِ عُبادٍ قَالَ: كَانَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكْرَهُونَ الصَّوْتَ عِنْدَ الْقِتَالِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (يَكْرَهُوْنَ الصَّوْتَ) ‘‘তারা আওয়াজ অপছন্দ করত।’’ আল্লাহর জিকির ছাড়া তারা সাধারণ আওয়াজ অপছন্দ করতেন। মুযহির বলেনঃ যোদ্ধাদের অভ্যাস তাদের আওয়াজ উঁচু করা, হয় নিজেদের বড়ত্ব প্রকাশ করার জন্য অথবা আওয়াজের আধিক্যতার মাধ্যমে নিজেদের আধিক্যতা প্রকাশ করার জন্য অথবা শত্রুদেরকে ভয় দেখানোর জন্য অথবা ‘‘আমি যুদ্ধ অনুসন্ধানকারী বীর’’ এ কথা বলার মাধ্যমে বীরত্ব প্রকাশের জন্য। সাহাবীগণ এ ধরনের কিছু বলে আওয়াজ উঁচু করাকে অপছন্দ করতেন, কেননা এ ধরনের আওয়াজ দ্বারা সুউচ্চ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় না, বরং তারা তাকবীর ধ্বনি দ্বারা আওয়াজ উঁচু করত, কেননা এতে ইহকাল ও পরকালের সফলতা আছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
নায়ল গ্রন্থকার বলেনঃ অত্র হাদীসে এ প্রমাণ আছে যে, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আওয়াজ উঁচু করা, বেশি হৈচৈ করা, চিৎকার করা মাকরূহ। সম্ভবত তাদের অপছন্দ করার কারণ এজন্য যে, ঐ সময়ে আওয়াজ করা কখনো ভয় ও ব্যর্থতার ইঙ্গিত বহন করে যা চুপ থাকার বিপরীত। কেননা চুপ থাকা দৃঢ়তার প্রতি নির্দেশক, বীরত্বের বাঁধন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬৫৩)