৩৮৯৬

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা

৩৮৯৬-[৫] আবূ বাশীর আল আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে কোনো এক সফরে ছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজনকে পাঠিয়ে কাফিলার মধ্যে এ ঘোষণা দিতে বললেন যে, কারো উটের গলায় যেন ধনুকের ছিলার মালা অবশিষ্ট না থাকে। অথবা বলেছেন, মালা থাকলে যেন তা কেটে ফেলা হয়। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ اٰدَابِ السَّفَرِ

وَعَن أبي بشيرٍ الأنصاريِّ: أَنَّهُ كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَسُولًا: «لَا تبقين فِي رَقَبَة بِغَيْر قِلَادَةٌ مِنْ وَتَرٍ أَوْ قِلَادَةٌ إِلَّا قُطِعَتْ»

ব্যাখ্যা: (لَا تَبْقَيَنَّ فِىْ رَقَبَةِ بِغَيْرِ قِلَادَةٌ مِنْ وَتَرٍ أَوْ قِلَادَةٌ إِلَّا قُطِعَتْ) কোনো উটের গলায় যেন ধনুকের ছিলার মালা অবশিষ্ট না থাকে। কারী বলেন, উটের গলার মালা কেটে ফেলার নির্দেশ এজন্য দেয়া হয়েছে যে, তাতে ঘণ্টা ঝুলানো থাকতো। আর তা শায়ত্বনের বাঁশি যা রহমাতের মালাক (ফেরেশতা) সঙ্গী হতে বাধা প্রদানকারী। শারহুস্ সুন্নাতে উল্লেখ আছে যে, মালিক (রহঃ)-এর ব্যাখ্যায় বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধনুকের ছিলা দ্বারা তৈরি মালা কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন এজন্য যে, তা চোখ লাগা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঝুলানো হত। ‘আরবের লোকেরা এ ধরনের কাজ করত এবং মনে করত যে, তা বালা-মুসীবাত হতে রক্ষা করবে। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরনের মালা পড়াতে নিষেধ করেছেন। আর তাদেরকে অবহিত করেছেন যে, এ ধরনের কাজ আল্লাহর কোনো ফায়সালাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে না। আবার কেউ বলেছেন যে, ধনুকের ছিলা দ্বারা দেয়া মালাকে কেটে ফেলতে নির্দেশ দেয়ার কারণ এই যে, মালাতে তারা ঘণ্টা ঝুলাতো, তাই এ ধরনের মালা পড়ানোকেই নিষেধ করেছেন।

ইমাম নববী বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান এবং আরো অনেকে বলেছেন, এর অর্থ হলো তোমরা ধনুকের ছিলার মালা উটের গলায় পড়াবে না যাতে তা তার গলায় পেঁচিয়ে গিয়ে ফাঁসী না লাগে। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩০০৫; শারহে মুসলিম ১৪ খন্ড, হাঃ ২১১৫; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৫৪৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ