৩৮৯৪

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা

৩৮৯৪-[৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো কাফিলার সাথে যদি কুকুর কিংবা ঘণ্টা থাকে, তাহলে সেই কাফিলার সাথে মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) থাকে না। (মুসলিম)[1]

بَابُ اٰدَابِ السَّفَرِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَصْحَبُ الْمَلَائِكَةُ رُفْقَةً فِيهَا كَلْبٌ وَلَا جَرَسٌ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

ব্যাখ্যা: (لَا تَصْحَبُ الْمَلَائِكَةُ رُفْقَةً) ঐ জামা‘আতের সঙ্গে মালাক (ফেরেশতা) থাকে না, অর্থাৎ রহমাতের মালাক থাকে না। এখানে সম্মানিত লেখকও সংরক্ষণকারী মালাক উদ্দেশ্য নয়। কারণ তারা সর্বদাই মানুষের সঙ্গে থাকেন এবং ‘আমলনামা লিপিবদ্ধ করেন।

(فِيهَا كَلْبٌ وَلَا جَرَسٌ) যে দলের সাথে কুকুর অথবা ঘণ্টি থাকে। এখানে ‘কুকুর’ দ্বারা এমন কুকুর উদ্দেশ্য যা শিকারী অথবা পাহারা দেয়ার কুকুর নয়। কারণ এ জাতীয় কুকুর সঙ্গে রাখা বৈধ।

ইমাম নববী বলেনঃ মালাক সঙ্গে না থাকার হিকমাত এই যে, ‘ঘণ্টি’ নিষিদ্ধ নাকূসের সমতুল্য যা কাফির সম্প্রদায় ব্যবহার করে থাকে। অথবা এর আওয়াজ অপছন্দনীয় তাই মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) তাদের সঙ্গী হয় না। (মিরকাতুল মাফাতীহ; শারহে মুসলিম ১৪ খন্ড, হাঃ ২১১৩)

এটাও বলা হয় যে, যেহেতু বিনা প্রয়োজনে কুকুর পালন করা নিষিদ্ধ, তাই যে ব্যক্তি তা সঙ্গে রাখবে শাস্তি স্বরূপ রহমাতের মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ)-কে তাদের সঙ্গ দেয়া থেকে বিরত রাখা হবে। ফলে তারা রহমাতের মালাক সঙ্গে থাকার বরকত এবং তাদের দু‘আ ও আল্লাহর আনুগত্য করতে সহযোগিতা পাওয়া হতে বঞ্চিত হবে। অথবা কুকুর নাপাক আর মালায়িকাহ্ পবিত্র তাই নাপাকের সঙ্গী হওয়া থেকে পবিত্র মালায়িকাহ্ বিরত থাকবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৫৫২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ