৩৭৮২

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিচারকার্য এবং সাক্ষ্যদান

৩৭৮২-[২৫] ’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ খিয়ানাতকারী পুরুষ ও খিয়ানাতকারিণী নারীর সাক্ষ্য কবুলযোগ্য নয়। ব্যভিচারী পুরুষ ও ব্যভিচারিণী নারীর সাক্ষ্যও কবুলযোগ্য নয় (গ্রহণ করা হবে না)। আর শত্রুর সাক্ষ্যদান বৈধ নয়, যদিও সে তার মুসলিম ভাই হয়। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এমন ব্যক্তির সাক্ষ্যকেও অগ্রহণযোগ্য বলেছেন, যে কোনো পরিবারের গোলাম বা চাকর। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَجُوزُ شَهَادَةُ خَائِنٍ وَلَا خَائِنَةٍ وَلَا زَانٍ وَلَا زَانِيَةٍ وَلَا ذِي غِمْرٍ عَلَى أَخِيهِ» . وَرَدَّ شَهَادَةَ الْقَانِعِ لِأَهْلِ الْبَيَتْ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসটিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে তাদের কথা বিচারকার্যে যাদের সাক্ষী গ্রহণীয় নয়।

(ক) খিয়ানাতকারী মহিলা-পুরুষ।

(খ) যিনাকারী পুরুষ-মহিলা।

(গ) এমন লোকের সাক্ষী এমন কারো সম্পর্কে যার সাথে তার আগে থেকেই শত্রুতা ছিল।

অত্র হাদীসের শিক্ষা হলো সাক্ষী প্রদানের বিষয়টি খুব গুরুত্বের দাবীদার, সুতরাং যে কেউ সাক্ষী দান করতে পারবে না, এটাই বাস্তবতার দাবী। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৫৯৮; মিরকাতুল মাফাতীহ)