৩৭৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিচারকদের (সহকর্মীদের) বেতন ও হাদিয়া গ্রহণ করা

৩৭৫৩-[৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষ গ্রহণকারী ও ঘুষ প্রদানকারী উভয়ের ওপর অভিসম্পাত করেছেন। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্)[1]

وَعَن عبد الله بن عَمْرو قَالَ: لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم الرَّاشِيَ وَالْمُرْتَشِيَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসটিতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সরকারী দায়িত্ব পালনকারী ঐসব লোকেদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন যারা দায়িত্ব পালনে ঘুষ লেন-দেন করে থাকে। ঘুষ বলা হয় যার মাধ্যমে তদবীর করে কাঙ্খিত লক্ষ্য পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয় যদিও তা ভুল পন্থা। ‘রাশী’ হলো সে যে কাউকে কিছু দিল এ আশায় যে, সে তাকে অন্যায় কাজে সহযোগিতা করবে। অপরদিকে যে তা গ্রহণ করে তাকে হাদীসের পরিভাষায় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘মুরতাশী’ বলেছেন। আর ‘রাশী’ ও ‘মুরতাশী’র মধ্যে লেন-দেনের পরিমাণ কম-বেশী করতে ভূমিকা পালনকারীকে রায়শ বলে।

 কারো ওপর থেকে জুলুম অপসারণের নিমিত্তে প্রদত্ত টাকা বা অর্থ ঘুষের অন্তর্ভুক্ত নয়, তাবি‘ঈদের একদল থেকে প্রমাণিত আছে, তারা বলেনঃ لَا بَأْسَ أَنْ يُصَانِعَ الرَّجُلُ عَنْ نَفْسِه وَمَالِه إِذَا خَافَ الظلم অর্থাৎ- যদি কেউ তার নিজের আত্মা ও অর্থের ব্যাপারে জুলুমের আশংকা করে তাহলে এ থেকে বাঁচার জন্য কোনো উপায় অবলম্বন করলে তাতে কোনো অসুবিধা নেই। ইবনুল আসীর (রহঃ) এ কথাই বলেছেন।

মিরকাতুল মাফাতীহ গ্রন্থকার বলেন, الرِّشْوَةُ مَا يُعْطٰى لِإِبْطَالِ حَقٍّ أَوْ لِإِحْقَاقِ بَاطِلٍ অর্থাৎ- সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানানোর উদ্দেশে অর্থনৈতিক লেন-দেনকে ঘুষ বলা হয়। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৩৩৬)