লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৩৭১৪-[৫৪] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দশ বা ততোধিক লোকের অভিভাবক বা জিম্মাদার হয়েছে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তার গলায় শিকল পরা অবস্থায় উপস্থিত করবেন। তার হাত গর্দানের সাথে বাঁধা অবস্থায় থাকবে, তার নেক ’আমল তাকে রক্ষা করবে অথবা তার কৃত অপরাধ তাকে ধ্বংস করবে। নেতৃত্বের প্রথম অবস্থা তিরস্কার ও নিন্দা, মধ্যম অবস্থায় লজ্জা, আর অবশেষে কিয়ামতের দিন অপমানিত ও লাঞ্ছিত হবে। (আহমাদ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَا مِنْ رَجُلٍ يَلِي أَمْرَ عَشَرَةٍ فَمَا فَوْقَ ذَلِكَ إِلَّا أتاهُ اللَّهُ عزَّ وجلَّ مغلولاً يومَ القيامةِ يَدُهُ إِلَى عُنُقِهِ فَكَّهُ بِرُّهُ أَوْ أَوْبَقَهُ إِثْمُهُ أَوَّلُهَا مَلَامَةٌ وَأَوْسَطُهَا نَدَامَةٌ وَآخِرُهَا خِزْيٌ يومَ القيامةِ»
ব্যাখ্যা: সে কিয়ামতের দিন গর্দানের সাথে হাত বাঁধা অবস্থায় উপস্থিত হবে। অর্থাৎ (তার উপর) আল্লাহ অথবা মালায়িকার (ফেরেশতার) নির্দেশক্রমে সে গলবন্ধাবস্থায় আল্লাহর সমীপে উপনীত হবে। তার এই অবস্থা থেকে কেবলমাত্র তার ন্যায় ও ইনসাফ নামক সৎকর্ম তাকে উদ্ধার করতে পারবে। যদি সে ঐ ইনসাফ ও সৎকর্মে ব্যর্থ হয় তাহলে তার পাপ বা গুনাহ তাকে ধ্বংস করে দিবে।
নেতৃত্বের শুরু হয় গাল-মন্দ দিয়ে, মাঝখানে গিয়ে হতে হয় লজ্জিত ও অপমানিত আর শেষে অর্থাৎ কিয়ামতের দিন তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনা। দুনিয়া হলো আখিরাতের ক্ষেত্রস্বরূপ। সুতরাং দুনিয়ার কর্ম ফলই সে আখিরাতে ভোগ করবে। যেহেতু প্রশাসন ছিল তার কর্ম, আর সেখানে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা খুবই কঠিন কাজ, তাই এক্ষেত্রে তাকে জওয়াবদিহিতার মুখোমুখি হতেই হবে। আর যে জওয়াবদিহিতার মুখোমুখি হবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)