৩৪৬০

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৪৬০-[১৫] উক্ত রাবী [আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রুবাইয়ি’ (রাঃ); যিনি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর ফুফু, তিনি এক আনসারী মেয়ের সামনের দাঁত ভেঙ্গে দেয়। অতঃপর মেয়েটির গোত্রের লোকেরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট অভিযোগ করলে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিসাস (প্রতিশোধ) গ্রহণের আদেশ দিলেন। তখন আনাস ইবনু মালিক -এর চাচা আনাস ইবনুন্ নযর বললেন, হে আল্লাহর রসূল! এমনটি হতে পারে না। আল্লাহর কসম! রুবাইয়ি’-এর দাঁত ভাঙ্গতে দেয়া হবে না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আনাস! আল্লাহর নির্দেশ হলো কিসাস নেয়া। অতঃপর নিহত ব্যক্তির গোত্রের লোকেরা ক্বিসাসের দাবির পরিবর্তে দিয়াত (রক্তপণ) গ্রহণ করতে সম্মত হলো। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলার এমন কিছু (নেক) বান্দা আছে, যারা আল্লাহর নামে কোনো শপথ করলে আল্লাহ তা’আলা তা পূরণ করে দেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْهُ قَالَ: كَسَرَتِ الرُّبَيِّعُ وَهِيَ عَمَّةُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ثَنِيَّةَ جَارِيَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ فَأَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَ بِالْقِصَاصِ فَقَالَ أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ عَمُّ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ لَا وَاللَّهِ لَا تُكْسَرُ ثَنِيَّتُهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَنَسُ كِتَابُ اللَّهِ الْقِصَاصُ» فَرَضِيَ الْقَوْمُ وَقَبِلُوا الْأَرْشَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ مَنْ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى الله لَأَبَره»

ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা কাযী ‘ইয়ায (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীস দাঁতের কিসাস বৈধ হওয়ার পক্ষে দলীল। কেউ যদি কারো দাঁত ভেঙ্গে ফেলে তবে তারও দাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় অপরাধীকে ক্ষমা করে দেয় তবে তাও জায়িয। ইমাম নববী (রহঃ) বলেনঃ ক্বিসাসের ক্ষেত্রে ক্ষমা করে দেয়া মুস্তাহাব এবং এর জন্য সুপারিশ করাও মুস্তাহাব। আর কিসাস নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিসাস নেয়া অথবা দিয়াত নেয়া- এ দু’টির যে কোনো একটি বেছে নেয়ার অধিকার বা নিহত ব্যক্তির পরিবারের হত্যাকারী বা আহতকারীর নয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪৫৭৯; শারহে মুসলিম ১১শ খন্ড, হাঃ ১৬৭৫)