লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৫১-[১০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবুল কাসিম (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি স্বীয় দাসের ওপর (ব্যভিচারের) মিথ্যারোপ করে অথচ সে তা হতে মুক্ত; তাকে (মালিককে) কিয়ামতের দিন কোড়া লাগানো বা চাবুক মারা হবে অবশ্য গোলাম যদি তার অপবাদ অনুযায়ী হয় (তবে মালিককে বেত্রাঘাত করা হবে না)। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ النَّفَقَاتِ وَحَقِّ الْمَمْلُوْكِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ قَذَفَ مَمْلُوكَهُ وَهُوَ بَرِيءٌ مِمَّا قَالَ جُلِدَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ كَمَا قَالَ»
ব্যাখ্যা: নাসায়ীর বর্ণনায় রয়েছে, (أقام عليه الحد يوم القيامة) অর্থাৎ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তার ওপর দণ্ডবিধি কায়িম করবেন। উভয় বর্ণনার আলোকে বুঝা যায় যে, মুনীব তার গোলামের ওপর অপবাদ দিলে দণ্ডবিধির শাস্তি দুনিয়ায় কায়িম করা হবে না। দুনিয়ায় কায়িম হয়নি বলেই আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামত দিবসে তার দণ্ডবিধি কায়িম করে তার প্রতি অবিচারের বিচার করবেন। দুনিয়ায় দণ্ড কায়িমের নিয়ম থাকলে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ার কথাও বলে দিতেন যেমন আখিরাতের কথা বলে দিয়েছেন। এটাকেই ‘আলিমদের সর্বসম্মত মত বলে উল্লেখ করা হয়। (ফাতহুল বারী ১২শ খন্ড, হাঃ ৬৮৫৮)
ইমাম নববী বলেনঃ হাদীসে ইঙ্গিত রয়েছে যে, গোলামের ওপর অপবাদ দেয়া হলে দণ্ডবিধি কায়িম হবে না। এটা সর্বসম্মত মত। তবে অপবাদ যে দিবে তাকে তা‘যীর বা উপযুক্ত কিছু শাস্তি অবশ্যই দিবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)