৩২৮৪

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৮৪-[১১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন বিষয়ে হাসি-ঠাট্টা ও (স্বজ্ঞানে) কথার উক্তি, উভয়ই সঠিক উক্তিরূপে পরিগণিত হবে। বিবাহ, তালাক ও রজ্’আহ্ (এক ত্বলাক (তালাক)ান্তে প্রত্যাহার)। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান গরীব)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثٌ جَدُّهُنَّ جَدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جَدُّ: النِّكَاحُ وَالطَّلَاقُ وَالرِّجْعَةُ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيب

ব্যাখ্যা: ‘আরবী جِدٌّ-এর অর্থ ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, আগ্রহ, একাগ্রতা ইত্যাদি। মিরকাতুল মাফাতীহ গ্রন্থাকার বলেন, «وَالْجَدُّ مَا يُرَادُ بِه مَا وُضِعَ لَه» শব্দটি যে অর্থের জন্য গঠন করা হয়েছে সেই অর্থ গ্রহণ করা বা উদ্দেশ্য হওয়া। আর «المهزل» শব্দটির আভিধানিক অর্থ ঠাট্টা, কৌতুক, রসিকতা ইত্যাদি। পরিভাষায় কোনো শব্দকে যে উদ্দেশে গঠন করা হয়েছে সে অর্থ ছাড়া ভিন্ন কোনো অর্থ গ্রহণ করা, যদিও ঐ অর্থের সাথে গঠিত অর্থের কোনো সম্পর্ক ও সাদৃশ্য নেই।

৩টি বিষয় আগ্রহ বা একান্তভাবে বললে কিংবা কৌতুক রসিকতার সাথে বললেও তা কার্যকর হবে। (এক) তালাক (দুই) নিকাহ বা বিবাহ (তিন) রজ্‘আহ্ বা স্ত্রীকে প্রত্যাহার করে নেয়া। অর্থাৎ কেউ যদি সরীহ বা স্পষ্ট শব্দে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বলে আমি খেলাচ্ছলে বা রসিকতা করে তালাক দিয়েছি তার ঠাট্টা রসিকতা ধর্তব্য হবে না বরং তার তালাকই কার্যকর হবে।

কাযী ‘ইয়ায (রহঃ) বলেনঃ আহলে ‘ইলম বা বিদ্বানগণ একমত যে, ঠাট্টাচ্ছলে তালাক প্রদান করলে তা কার্যকর হবে। প্রাপ্তবয়স্ক জ্ঞানবান ব্যক্তি যখন স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন শব্দে তালাক প্রদান করবে তখন তার এ কথার কোনো মূল্য বা ভিত্তি হবে না যে, আমি খেলাচ্ছলে বা ঠাট্টাচ্ছলে তালাক দিয়েছিলাম। কেননা ঠাট্টাচ্ছলের তালাক অকার্যকর হলে ইসলামের অনেক বিধানই অকার্যকর হয়ে যাবে। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) হাদীসটিকে হাসান ও গরীব বলেছেন। ‘আল্লামা মুনযিরী বলেনঃ হাদীসটি সহীহের শর্তে পৌঁছেনি, অর্থাৎ হাদীসটি য‘ঈফ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ