৩২৮৩

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৮৩-[১০] রুকানাহ্ ইবনু ’আব্দ ইয়াযীদ হতে বর্ণিত। তিনি স্বীয় স্ত্রী সুহায়মাহ্-কে নিশ্চিত তালাক দিলেন। অতঃপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বিষয়টি অবহিত করে বললেন, আল্লাহর কসম! আমি এক ত্বলাক (তালাক)ের নিয়্যাত করেছি, অন্য কিছু নয়। এটা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কসম! তুমি কি এক তালাক ব্যতীত অন্য কিছু নিয়্যাত করনি? আমি বললাম, আল্লাহর কসম! এক তালাক ব্যতীত অন্য কিছু নিয়্যাত করিনি। এতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, রুকানাহ্ তার স্ত্রীকে ’উমার (রাঃ)-এর যুগে দ্বিতীয় এবং ’উসমান (রাঃ)-এর যুগে তৃতীয় তালাক দেন। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী; কিন্তু নিশ্চয় তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্বলাক (তালাক)ের উল্লেখ করেননি)[1]

وَعَنْ رُكَانَةَ بْنِ عَبْدِ يَزِيدَ أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ سُهَيْمَةَ الْبَتَّةَ فَأَخْبَرَ بِذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم وَقَالَ: وَالله مَا أردتُ إِلَّا وَاحِدَةً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَاللَّهِ مَا أَرَدْتَ إِلَّا وَاحِدَةً؟» فَقَالَ ركانةُ: واللَّهِ مَا أردتُ إِلَّا وَاحِدَة فَرَدَّهَا إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَطَلَّقَهَا الثَّانِيَةَ فِي زَمَانِ عُمَرَ وَالثَّالِثَةَ فِي زَمَانِ عُثْمَانَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ إِلَّا أَنَّهُمْ لَمْ يَذْكُرُوا الثانيةَ وَالثَّالِثَة

وعن ركانة بن عبد يزيد انه طلق امراته سهيمة البتة فاخبر بذلك النبي صلى الله عليه وسلم وقال: والله ما اردت الا واحدة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «والله ما اردت الا واحدة؟» فقال ركانة: والله ما اردت الا واحدة فردها اليه رسول الله صلى الله عليه وسلم فطلقها الثانية في زمان عمر والثالثة في زمان عثمان. رواه ابو داود والترمذي وابن ماجه والدارمي الا انهم لم يذكروا الثانية والثالثة

ব্যাখ্যা: রুকানাহ্ ইবনু ‘আব্দ ইয়াযীদ তার স্ত্রী সুহায়মাহ্-কে الْبَتَّةَ ‘‘আল বাত্তাহ্’’ তালাক প্রদান করেন। ‘আল বাত্তাহ্’ অর্থ নিশ্চিত, অবশ্যই; অর্থাৎ তিনি তার স্ত্রীকে নিশ্চিত তালাক দিয়েছিলেন যা নিশ্চিত কার্যকর। কেউ যদি স্ত্রীকে ‘আল বাত্তাহ্’ তালাক দেয় তা কত তালাক হবে- এ নিয়ে ইমাম ও ফুকাহায়ে কিরামের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ)-এর মতে এ অবস্থায় এক ত্বলাকে রজ্‘ঈ পতিত হবে। তবে যদি দুই অথবা তিনের নিয়্যাত করে তবে তার নিয়্যাত মোতাবেকই হবে।

ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) বলেনঃ ‘আল বাত্তাহ্’ তালাক এক ত্বলাকে বায়্যিনাহ্ বলে বিবেচিত হবে। তিনের নিয়্যাত করলে তিন হবে।

ইমাম মালিক-এর মতে, তিন-ই হবে। সালাফ ও খালাকের একদল মুহাক্কিকের মতে এক তালাক রজ্‘ঈ হওয়াটাই অধিক যুক্তিযুক্ত। কেননা একত্রে প্রদত্ত তিন তালাক তিন তালাক হয় না, বরং এক হওয়ার পক্ষে সহীহ মুসলিমে একাধিক বিশুদ্ধ হাদীস বিদ্যমান রয়েছে। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে, আবূ বাকর-এর খিলাফাতকালে, অতঃপর ‘উমার (রাঃ)-এর খিলাফাতের প্রথম দুই বছর পর্যন্ত একত্রে প্রদত্ত তিন তালাককে এক তালাক বলে গণ্য করা হতো..........। (সহীহ মুসলিম- হাঃ ৩৭৪৬)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ রুকানাহ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)