লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৩৯-[২] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নারীকে পাঁজরের হাড় হতে সৃষ্টি করা হয়েছে, কক্ষনো সে তোমার জন্য সোজা হবার নয়। অতঃপর তুমি যদি তার নিকট হতে উপকার নিতে চাও, তবে ঐ বক্রাবস্থায় আদায় করতে হবে। তুমি যদি সোজা করতে যাও, তবে ভেঙ্গে ফেলতে পার। ’ভেঙ্গে ফেলা’ বলতে তাকে (উপায়-উপায়ন্তর না পেয়ে) তালাক প্রদান করা। (মুসলিম)[1]
بَابُ عِشْرَةِ النِّسَاءِ وَمَا لِكُلِّ وَاحِدَةِ مِّنَ الْحُقُوْقِ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْمَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلَعٍ لَنْ تَسْتَقِيمَ لَكَ عَلَى طَرِيقَةٍ فَإِنِ اسْتَمْتَعْتَ بِهَا اسْتَمْتَعْتَ بِهَا وَبِهَا عِوَجٌ وَإِنْ ذَهَبْتَ تقيمها كسرتها وَكسرهَا طَلاقهَا» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: এখানে নারী দ্বারা নারী জাতিকে বুঝানো হয়েছে অথবা নারী জাতির আদি সত্বা আদি মাতা হাওয়াকে বুঝানো হয়েছে। তাকে সৃষ্টি করা হয়েছিল আদামের পাঁজরের উপরের বাঁকা হাড় থেকে। তুমি তাকে সর্ববিষয়ে এবং সর্বদাই সোজা রাখতে পারবে না বরং সে একেক সময় একেক অবস্থা ধারণ করবে। কখনো তোমার অবদানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে, কখনো বা কুফরী করবে, কখনো আনুগত্য করবে, কখনো অবাধ্যচারী হবে, কখনো হবে অল্পে তুষ্ট, কখনো হবে সীমালঙ্ঘনকারী স্বেচ্ছাচারী।
নারীর এ বক্রতার মধ্য দিয়েই তুমি তোমার ফায়দা হাসিল করে নিবে। আর যদি বেশী জোরাজুরি কর তাহলে তাকে সোজা তো করতেই পারবে না, বরং ভেঙ্গে ফেলবে, অর্থাৎ তালাক দিয়ে দিতে হবে। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীসে বাঁকা হাড় সোজা করা যে অসম্ভব তার ঘোষণা রয়েছে। অর্থাৎ সোজা করতে গিয়ে ভাঙ্গা ছাড়া যদি উপায়ই না থাকে তবে তা ভেঙ্গে ফেলবে বা তালাক প্রদান করবে। কিন্তু তালাক দেয়া তো কাম্য নয়। (শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৪৬৮; মিরকাতুল মাফাতীহ)