লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দানসমূহ
৩০১৫-[৮] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের ধন-সম্পদ তোমরা নিজেদের নিকট আঁকড়ে রাখ এবং তা বিনষ্ট করো না। সাবধান, যে ব্যক্তি ’উমরা’রূপে দান করেছে তা তারই (প্রাপ্য) হবে; যে ব্যক্তিকে তা দান করা হয়েছে- তার জীবনকালে, মৃত্যুকালে এবং পরবর্তীতেও তার ওয়ারিসগণই তার (হকদার) হবে। (মুসলিম)[1]
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمْسِكُوا أَمْوَالَكُمْ عَلَيْكُمْ لَا تُفْسِدُوهَا فَإِنَّهُ مَنْ أَعْمَرَ عُمْرَى فَهِيَ لِلَّذِي أعمر حَيا وَمَيتًا ولعقبه» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: (وَلِعَقِبِه) নববী (রহঃ) বলেনঃ তিনি তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ‘উমরা পন্থায় জীবনস্বত্ব দান কার্যকরী বিশুদ্ধ দান, যাকে তা দান করা হয়েছে সে তাতে পূর্ণাঙ্গরূপে মালিকানা লাভ করবে, তা কখনো দাতার কাছে ফিরে আসবে না, আর যখন তারা তা জানবে তখন যার ইচ্ছা হবে সে ‘উমরা পন্থায় জীবনস্বত্ব দান করবে এবং দেখেশুনে তাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছা করবে সে তা বর্জন করবে। কেননা তারা ধারণা করত যে, ‘উমরা পন্থায় জীবনস্বত্ব দান বিশেষ ধরনের ধার স্বরূপ। এক্ষেত্রে পুনরায় তা দাতার কাছে ফিরে আসবে। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (وَلِعَقِبِه) বলে ঐ ধারণা বাতিল করে দিয়েছেন।