পরিচ্ছেদঃ ১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দানসমূহ
৩০১৪-[৭] উক্ত রাবী [জাবির (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’উমরা- জায়িয, যে ব্যক্তিকে ’উমরা-’রূপে দেয়া হয়েছে তা তারই (প্রাপ্য)। আর ’রুকবা-’ জায়িয, যে ব্যক্তিকে ’রুকবা-’রূপে দেয়া হয়েছে তা তারই (প্রাপ্য)। (আহমাদ, তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْعُمْرَى جَائِزَةٌ لِأَهْلِهَا وَالرُّقْبَى جَائِزَةٌ لِأَهْلِهَا» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (الْعُمْرٰى جَائِزَةٌ لِأَهْلِهَا) এতে ঐ ব্যাপারে প্রমাণ আছে যে, ‘উমরা এবং রুকবা পন্থায় জীবনস্বত্ব দান হুকুমের ক্ষেত্রে সমান এবং এটা জুমহূরের মত। মালিক, আবূ হানীফাহ্ ও মুহাম্মাদ রুকবা পন্থায় জীবনস্বত্ব দানকে নিষেধ করেছেন। আর আবূ ইউসুফ জুমহূরের মতকে সমর্থন করেছেন। আর নাসায়ী ইবনু ‘আব্বাস হতে বিশুদ্ধ সূত্রে মাওকূফভাবে বর্ণনা করেন, ‘উমরা এবং রুকবা পন্থায় স্বত্বদান সমান এভাবে ফাত্হুল বারীতে আছে।
খত্ত্বাবী বলেনঃ আবূ হানীফাহ্ বলেছেন, ‘উমরা পন্থায় জীবনস্বত্ব দানের উত্তরাধিকারী সাব্যস্ত হয়, আর রুকবা পন্থা ধার স্বরূপ। ইমাম শাফি‘ঈ-এর কাছে ‘উমরার মতো রুকবাও উত্তরাধিকারী সাব্যস্ত হয়, এটা হাদীসের বাহ্যিকতার হুকুম। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৫৫৫)
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এটা হাসান হাদীস। বর্ণনাকারীদের কতক এ হাদীসটিকে এই সানাদে আবুয্ যুবায়র হতে, তিনি জাবির হতে মাওকূফ সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি একে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণনা করেননি। আল্লাহর রসূলের সাথীবর্গদের হতে এবং অন্যান্যদের কতিপয় বিদ্বানের কাছে এর উপর ‘আমল যে, রুকবা ‘উমরার মতো বৈধ। এটা আহমাদ এবং ইসহক-এর মত।
আর কুফাবাসী এবং অন্যান্য হতে কতিপয় বিদ্বান ‘উমরা এবং রুকবার মাঝে পার্থক্য করেছেন। অতঃপর তারা ‘উমরাকে বৈধ ঘোষণা করেছে এবং রুকবাকে বৈধ ঘোষণা করেননি। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৩৫১)
আহমাদ এবং নাসায়ী ইবনু ‘আব্বাস হতে বর্ণনা করেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি ‘উমরা পন্থায় জীবনস্বত্ব দান করবে তার জন্য তা বৈধ। আর যে ব্যক্তি রুকবা পন্থায় জীবনস্বত্ব দান করবে তার জন্য তা বৈধ। আর দান করে ফেরত গ্রহণকারী বমি করে পুনরায় গ্রহণকারীর মতো।’’ (الْعُمْرَى جَائِزَةٌ لِمَنْ أُعْمِرَهَا وَالرُّقْبٰى جَائِزَةٌ لِمَنْ أُرْقِبَهَا وَالْعَائِدُ فِي هِبَتِه كَالْعَائِدِ فِي قَيْئِه) এ শব্দে বর্ণনা করেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)