৫৬২

পরিচ্ছেদঃ

৫৬২। আলী ইবনে আবী তালিব থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফাতে অবস্থান করলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ এটা হচ্ছে অবস্থানের জায়গা। সমগ্র আরাফাতই অবস্থানের জায়গা। সূর্য অস্ত যাওয়া মাত্রই তিনি সেখান থেকে রওনা হলেন। উসামাকে পেছনে বসালেন এবং নিজের উটটাকে জোরে জোরে চালালেন। অন্য লোকেরা ডানে বামে চলতে লাগলো। তিনি তাদের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন, “হে জনতা, প্রশান্তি!” অতঃপর একদল লোকের কাছে এলেন এবং মাগরিব ও ইশার নামাযে তাদের ইমামতি করলেন। অতঃপর রাত গিয়ে যখন ভোর হলো, তিনি কুযাহতে এলেন এবং কুযাহতে অবস্থান করলেন। তখন তিনি বললেনঃ এটা অবস্থানের জায়গা এবং একটি সমাবেশের জায়গা। পুরো কুযাহাই অবস্থানের জায়গা।

এরপর তিনি আবার চলা শুরু করলেন এবং মুহাসসার উপত্যকায় এলেন ও সেখানে (কিছু সময়) অবস্থান করলেন। তারপর তাঁর উটনীকে ধাক্কা দিয়ে তুললেন। উটটি দুলকি চালে চলে উপত্যকা পার হয়ে গেল। অতঃপর উটনীকে থামালেন এবং ফযলকে পেছনে বসালেন। অতঃপর জামরায় এলেন ও পাথর নিক্ষেপ করলেন। তারপর কুরবানীর জায়গায় এলেন। তারপর বললেন, এটা কুরবানীর জায়গা এবং সমগ্ৰ মিনাই কুরবানীর জায়গা। বর্ণনাকারী বলেন, এই সময় খাসিয়াম গোত্রের এক যুবতী মেয়ে তাঁর নিকট জিজ্ঞাসা করলো যে, আমার বাবা এত বৃদ্ধ যে, চলৎশক্তি রহিত। অথচ তার ওপর হজ্জ ফরয হয়েছে। আমি তার পক্ষ থেকে হজ্জ করলে কি তার হজ্জ আদায় হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তুমি তোমার বাবার পক্ষ থেকে হজ্জ কর।”

এই সময় তিনি ফযলের ঘাড় ঘুরিয়ে দিলেন। আব্বাস (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল, আপনি আপনার চাচাতো ভাইয়ের ঘাড় ঘুরিয়ে দিলেন কেন? তিনি বললেন, আমি একজন যুবক ও যুবতীকে পাশাপাশি দেখলাম। তাদেরকে শয়তান থেকে নিরাপদ মনে করলাম না। এরপর তার নিকট আর এক ব্যক্তি এল। সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি তো কুরবানীর আগেই চুল কামিয়েছি। তিনি বললেন, কোন অসুবিধা নেই, কুরবানী কর। এরপর তাঁর নিকট আর একজন এল। সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি চুল কামানোর আগেই রওনা হয়েছি। তিনি বললেনঃ কোন সমস্যা নেই, চুল কামাও অথবা ছাটাও। তারপর তিনি বাইতুল্লায় এলেন ও তাওয়াফ করলেন। তারপর যমযমে এলেন এবং বললেনঃ হে আবদুল মুত্তালিবের গোত্ৰ, তোমাদের পানির উৎসকে রক্ষা কর। লোকেরা এর ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়বে এই আশঙ্কা না থাকলে আমি নিজে তা থেকে পানি টেনে তুলতাম।

[ইবনু খুযাইমা-২৮৮৯, ২৮৭৩, আবু দাউদ-১৯২২, ১৯৩৫, ইবনু মাজ-৩০১০, তিরমিযী-৮৮৫, মুসনাদে আহমাদ-৫২৫, ৫৬৪, ৬১৩, ৭৬৮, ১৩৪৮]

حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: وَقَفَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَةَ فَقَالَ: " هَذَا الْمَوْقِفُ، وَعَرَفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ " وَأَفَاضَ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ، ثُمَّ أَرْدَفَ أُسَامَةَ، فَجَعَلَ يُعْنِقُ عَلَى بَعِيرِهِ، وَالنَّاسُ يَضْرِبُونَ يَمِينًا وَشِمَالًا، يَلْتَفِتُ إِلَيْهِمْ وَيَقُولُ: " السَّكِينَةَ أَيُّهَا النَّاسُ " ثُمَّ أَتَى جَمْعًا فَصَلَّى بِهِمِ الصَّلاتَيْنِ: الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ، ثُمَّ بَاتَ حَتَّى أَصْبَحَ، ثُمَّ أَتَى قُزَحَ، فَوَقَفَ عَلَى قُزَحَ، فَقَالَ: " هَذَا الْمَوْقِفُ، وَجَمْعٌ كُلُّهَا مَوْقِفٌ " ثُمَّ سَارَ حَتَّى أَتَى مُحَسِّرًا فَوَقَفَ عَلَيْهِ فَقَرَعَ نَاقَتَهُ، فَخَبَّتْ حَتَّى جَازَ الْوَادِيَ، ثُمَّ حَبَسَهَا، ثُمَّ أَرْدَفَ الْفَضْلَ، وَسَارَ حَتَّى أَتَى الْجَمْرَةَ فَرَمَاهَا، ثُمَّ أَتَى الْمَنْحَرَ، فَقَالَ: " هَذَا الْمَنْحَرُ، وَمِنًى كُلُّهَا مَنْحَرٌ " قَالَ: وَاسْتَفْتَتْهُ جَارِيَةٌ شَابَّةٌ مِنْ خَثْعَمَ فَقَالَتْ: إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ قَدْ أَفْنَدَ وَقَدْ أَدْرَكَتْهُ فَرِيضَةُ اللهِ فِي الْحَجِّ، فَهَلْ يُجْزِئُ عَنْهُ أَنْ أُؤَدِّيَ عَنْهُ؟ قَالَ: " نَعَمْ، فَأَدِّي عَنْ أَبِيكِ " قَالَ: وَقَدْ لَوَى عُنُقَ الْفَضْلِ، فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ: يَا رَسُولَ اللهِ، لِمَ لَوَيْتَ عُنُقَ ابْنِ عَمِّكَ؟ قَالَ: " رَأَيْتُ شَابًّا وَشَابَّةً فَلَمْ آمَنِ الشَّيْطَانَ عَلَيْهِمَا " قَالَ: ثُمَّ جَاءَهُ رَجُلٌ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَنْحَرَ قَالَ: " انْحَرْ وَلا حَرَجَ ". ثُمَّ أَتَاهُ آخَرُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّي أَفَضْتُ قَبْلَ أَنْ أَحْلِقَ، قَالَ: " احْلِقْ أَوْ قَصِّرْ وَلا حَرَجَ " ثُمَّ أَتَى الْبَيْتَ فَطَافَ بِهِ، ثُمَّ أَتَى زَمْزَمَ، فَقَالَ: " يَا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، سِقَايَتَكُمْ، وَلَوْلا أَنْ يَغْلِبَكُمِ النَّاسُ عَلَيْهَا لَنَزَعْتُ بِهَا إسناده حسن، عبد الرحمن بن الحارث: هو ابن عبد الله بن عياش بن أبي ربيعة المخزومي مختلف فيه، فقد وثّقه ابن سعد والعجلي، وذكره ابن حبان في "الثقات" وقال: كان من أهل العلم، وقال ابن معين: صالح، وفي رواية: ليس به بأس، وقال أبو حاتم: شيخ، وضعفه ابن المديني، وقال النسائي: ليس بالقوي، فمثله يكون حَسَنَ الحديثِ، وباقي رجاله ثقات رجال الشيخين غير زيد بن علي- وهو ابن الحسين بن علي- فقد روى له أصحاب السنن، وهو ثقة. سفيان: هو ابن سعيد الثوري وأخرجه الترمذي (885) ، وأبو يعلى (312) و (544) ، وابن خزيمة (2837) و (2889) ، والطحاوي في "مشكل الآثار" 2/72-73، والبيهقي 5/122 من طريق أبي أحمد محمد بن عبد الله الزبيري، بهذا الإسناد. وبعضهم يزيد فيه على بعض. قال الترمذي: حديث علي هذا حديث حسن صحيح، لا نعرفه من حديث علي إلا من هذا الوجه من حديث عبد الرحمن بن الحارث بن عياش وأخرجه ابن الجارود (471) ، والبيهقي 5/122 من طريق محمد بن يوسف الفريابي، عن سفيان، به. وسيأتي برقم (564) و (613) و (768) و (1348) قوله: "يُعنق"، العَنَق: ضرب من السير فيه سرعة وفسحة وقُزح: هو القرن الذي يقف عنده الإمامُ بالمزدلفة وخبَّتْ، أي: سارت الخَبَب، وهو ضرب من العَدْو وأفند: تكلَّم بالفَنَد، وهو في الأصل: الكذب، ثم قالوا للشيخ إذا هَرِم: قد أفنَد، لأنه يتكلم بالمحرف من الكلام عن سنَن الصحة