৫১৩

পরিচ্ছেদঃ

৫১৩। উসমান (রাঃ) এর মুক্ত দাস হারেস বলেছেন, একদিন উসমান (রাঃ) বসে ছিলেন, আমরাও তার সাথে বসেছিলাম। তখন তাঁর কাছে ঘোষণাকারী এল। তিনি এমন একটি পাত্রে করে পানি আনতে বললেন, যাতে আমার মনে হয়, এক মুদ পরিমাণ থাকতে পারে। অতঃপর তিনি ওযূ করলেন, তারপর বললেন, আমি যে রকম ওযূ করলাম, ঠিক এ রকম ওযূ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে করতে দেখেছি। ওযূ করে তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার এই ওযূর মত ওযূ করবে, তারপর দাঁড়িয়ে যোহরের নামায পড়বে, তার ফযর ও যোহরের মাঝখানে সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। তারপর (একই রকম ওযূ করে) আসরের নামায পড়লে তার যোহর ও আসরের মাঝখানের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। তারপর মাগরিবের নামায পড়লে তার মাগরিব ও আসরের মাঝখানের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। তারপর ইশার নামায পড়লে তার মাগরিব ও ইশার মাঝখানের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। তারপর হয়তো সে রাত্রে মুখ দিয়ে প্রচুর লালা ঝরাবে। তারপর যদি সে ঘুম থেকে উঠে ওযূ করে ও ফজরের নামায পড়ে, তার ইশা ও ফজরের মাঝখানের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। এগুলো (ওযূ ও নামায) সৎকাজ, যা খারাপ কাজকে নষ্ট করে দেয়। লোকেরা বললোঃ (বুঝলাম) এগুলো সৎকাজ। তাহলে হে উসমান, স্থায়ী কাজগুলো কী কী? তিনি বললেনঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সুবহানাল্লাহ, আল-হামদু লিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। (অর্থাৎ নামায শেষে নিয়মিত এ তাসবীহগুলো পাঠ করা।)

حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَقِيلٍ، أَنَّهُ سَمِعَ الْحَارِثَ مَوْلَى عُثْمَانَ يَقُولُ: جَلَسَ عُثْمَانُ يَوْمًا وَجَلَسْنَا مَعَهُ، فَجَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ، فَدَعَا بِمَاءٍ فِي إِنَاءٍ، أَظُنُّهُ سَيَكُونُ فِيهِ مُدٌّ، فَتَوَضَّأَ، ثُمَّ قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَضَّأُ وُضُوئِي هَذَا، ثُمَّ قَالَ: " وَمَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا، ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى صَلاةَ الظُّهْرِ، غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ الصُّبْحِ، ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ صَلاةِ الظُّهْرِ، ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ صَلاةِ الْعَصْرِ، ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ صَلاةِ الْمَغْرِبِ، ثُمَّ لَعَلَّهُ أَنْ يَبِيتَ يَتَمَرَّغُ لَيْلَتَهُ، ثُمَّ إِنْ قَامَ فَتَوَضَّأَ وَصَلَّى الصُّبْحَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ صَلاةِ الْعِشَاءِ، وَهُنَّ الْحَسَنَاتُ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ". قَالُوا: هَذِهِ الْحَسَنَاتُ، فَمَا الْبَاقِيَاتُ يَا عُثْمَانُ؟ قَالَ: هُنَّ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَسُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَاللهُ أَكْبَرُ، وَلا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ إسناده حسن، الحارث أبو صالح مولى عثمان تقدم الكلام عليه عند الحديث (442) وباقي رجاله ثقات رجال الصحيح. أبو عبد الرحمن المقرئ: هو عبد الله بن يزيد، وحيوة: هو ابن شريح بن صفوان التجيبي، وأبو عقيل: هو زهرة بن معبد وأخرجه البزار (405) ، والطبري 12 / 132 من طريق أبي عبد الرحمن المقرئ، بهذا الإسناد وأورده الهيثمي في " المجمع " 1 / 297، وقال: في الصحيح بعضه، رواه أحمد وأبو يعلى والبزار، ورجاله رجال الصحيح غير الحارث بن عبد الله (كذا قال، وصوابه ابن عبد ويغلب على الظن أنه خطأ من الناسخ) مولى عثمان بن عفان وهو ثقة