লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৫৫-[২৮] ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর পরিবারের এক ব্যক্তি (সাহাবী) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কেবল আমার উদ্দেশেই এসে আমার কবর যিয়ারত করবে, কিয়ামতের দিন সে আমার পাশে থাকবে। আর যে ব্যক্তি মদীনাতে বসবাস করবে এবং মুসীবাতে ধৈর্য ধারণ করবে, কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সাক্ষী ও সুপারিশকারী হবো। আর যে ব্যক্তি দু’ হারামের কোন একটিতে মৃত্যুবরণ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তাকে বিপদমুক্তদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে উঠাবেন।[1]
وَعَنْ رَجُلٍ مِنْ آلِ الْخَطَّابِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ زَارَنِي مُتَعَمِّدًا كَانَ فِي جِوَارِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ سَكَنَ الْمَدِينَةَ وَصَبَرَ عَلَى بَلَائِهَا كُنْتُ لَهُ شَهِيدًا وَشَفِيعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ مَاتَ فِي أَحَدِ الْحَرَمَيْنِ بَعَثَهُ اللَّهُ مِنَ الْآمِنِينَ يَوْمَ الْقِيَامَة»
ব্যাখ্যা: খাত্ত্বাবের বংশের একজন লোক দ্বারা হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, মীরাক-এর লিখনীতে হাতিব-এর বংশের একজন লোকের কথা উল্লেখ হয়েছে।
বায়হাক্বীর এক সনদে ‘উমার-এর বংশের একজন লোকের কথা উল্লেখ হয়েছে। এভাবে আরো কিছু বৈসাদৃশ্যমূলক শব্দে হাদীসটি বর্ণিত হওয়ায় মুল্লা ‘আলী আল কারী এটিকে হাদীসে মুযত্বরাব বলে উল্লেখ করেছেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ ‘‘যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে আমার যিয়ারত করবে.....।’’ এ যিয়ারত দ্বারা বৈধ যিয়ারত উদ্দেশ্য। ইচ্ছা করে এর মূলে ‘আরাবীতে مُتَعَمِّدًا -এর দ্বারা উদ্দেশ্য শুধুমাত্র যিয়ারতের জন্য গমন করা, কোন ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নয়, অথবা লোক দেখানো কিংবা অন্য কোন বাতিল উদ্দেশেও নয়, বরং ইখলাসের সাথে সাওয়াবের উদ্দেশেই যিয়ারত করা। আর যে মদীনায় বাস করবে এবং সেখানকার দুঃখ-কষ্টে ধৈর্য ধারণ করবে। এখানে দুঃখ-কষ্ট বলতে সেটার ক্ষরা, অর্থ সংকট ও দৈন্যতা, বিভিন্ন আহলে বিদ্‘আতীদের দ্বারা অত্যাচার ইত্যাদি। আমি তার সাক্ষ্য দানকারী এবং সুপারিশকারী হব, এর অর্থ হলো তার গুনাহের জন্য সুপারিশকারী এবং নেক কাজের সাক্ষ্য দানকারী হব।
মুল্লা ‘আলী কারী (রহঃ) বলেন, واو (ওয়াও) অক্ষরটি এবং অর্থের পরিবর্তে او (আও) অর্থেও হতে পারে; তখন এর অর্থ হবে আমি তার সুপারিশকারী অথবা সাক্ষ্য দানকারী হব।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ ‘‘যে ব্যক্তি দু’ হারামের কোন একটিতে মৃত্যুবরণ করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্বিয়ামাতের দিবসে নিরাপদে উঠাবেন।’’ এখানে নিরাপদ বলতে ক্বিয়ামাতের ভয়াবহ ভীতিপ্রদ অবস্থাদির থেকে নিখাদ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবর যিয়ারতের উদ্দেশে সফর করার বিষয়ে সামনে বিস্তারিত বিবরণ আসছে।