পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৫৪-[২৭] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই দু’আ করেছেন, ’’আল্লা-হুম্মাজ্’আল বিল মদীনাতি যি’ফাই মা- জা’আলতা বিমক্কাতা মিনাল বারাকাহ্’’ (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি মক্কায় যে বারাকাত দান করেছো মদীনায় তার দ্বিগুণ বারাকাত দান কর।)। (বুখারী, মুসলিম)[1]
وَعَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللَّهُمَّ اجْعَلْ بِالْمَدِينَةِ ضِعفَي مَا جعلت بِمَكَّة من الْبركَة»
ব্যাখ্যা: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনার জন্য মক্কার বারাকাতে দ্বিগুণ বারাকাত চেয়ে দু‘আ করেছেন। ‘আরাবীতে ضِعْفِ এর অর্থ এর সমপরিমাণ; হাদীসে এরই দ্বিবচন ব্যবহার করা হয়েছে, সুতরাং তার অর্থ দাঁড়ায় দু’ গুণ। মদীনার এ বারাকাত দুনিয়ার ক্ষেত্রে, সাওয়াব বা আখিরাতের পুণ্যের ক্ষেত্রে নয়। যেমন- তিনি মদীনার ‘‘সা’’ এবং ‘‘মুদ্’’ এর মধ্যে বারাকাতে প্রার্থনা করেছেন। সাওয়াবের ক্ষেত্রে এমনটি নয়, সুতরাং বলা যাবে না যে, মদীনার সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) মক্কার সালাতের দ্বিগুণ হবে। অথবা বলা যায় এ বারাকাত ‘আম্ সকল বিষয়েই প্রযোজ্য সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) ছাড়া, কারণ এ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র হাদীস রয়েছে। আল্লাহর নাবী অনুরূপভাবে সিরিয়া ও ইয়ামানের বারাকাতের জন্যও দু‘আ করেছেন, এটা তাকীদের জন্য এর দ্বারা এ দেশ বা শহরগুলো মক্কার ওপর প্রাধান্য পাবে না।
‘আল্লামা মুবারাকপূরী তাঁর পিতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তিনি বলেছেনঃ মক্কার দ্বিগুণ চেয়ে দু‘আর অর্থ হলো মক্কার বাইরে যে বস্ত্ত দ্বারা একজন পরিতৃপ্ত হবে মক্কায় তা দিয়ে দু’জন পরিতৃপ্ত হবে, আর মদীনায় তা তিনজনের পরিতৃপ্তিদায়ক হবে। প্রকাশ যে হাদীসের এ বারাকাত নির্দিষ্ট সময়কাল দ্বারা সীমাবদ্ধ। ইমাম নাবাবী বলেন, এটা ‘‘মুদ্’’ এবং ‘‘সা’’-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ অন্য বস্ত্ততে নয়। কেউ কেউ বলেছেনঃ বারাকাত সকল যুগেই বিদ্যমান থাকবে।