লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানীর দিনের ভাষণ, আইয়্যামে তাশরীক্বে পাথর মারা ও বিদায়ী তাওয়াফ করা
২৬৬৬-[৮] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবত্বাহ’-এ নামা বা অবস্থান করা সুন্নাতসম্মত নয়। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্যে ’আবত্বাহ’ হতে (মদীনার দিকে) রওয়ানা হওয়াটা সহজ ছিল বিধায় এখানে নেমেছেন বা অবস্থান করেছেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابٌ خُطْبَةُ يَوْمِ النَّحْرِ وَرَمْىِ أَيَّامِ التَّشْرِيْقِ وَالتَّوْدِيْعِ
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: نُزُولُ الْأَبْطَحِ لَيْسَ بِسُنَّةٍ إِنَّمَا نَزَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَنَّهُ كَانَ أسمح لِخُرُوجِهِ إِذا خرج
ব্যাখ্যা: বাতনুল মুহাস্সাবে অবতরণ করা لَيْسَ بِسُنَّةٍ তথা সুন্নাত নয়।
আবূ দাঊদ-এর রিওয়ায়াতে এসেছে فمن شاء نزل ومن شاء لم ينزل অর্থাৎ- যে চায় সেখানে বাত্বনি মুহাসসাবে অবতরণ করুক আর যে চায় সেখানে অবতরণ না করুক। ‘আল্লামা মুল্লা ‘আলী কারী হানাফী (রহঃ) ليس بسنة এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, سنة قصدية তথা পালন করতেই হবে এমন সুন্নাত নয় অথবা ليس من سنن الحج অর্থাৎ- হজ্জের সুন্নাতসমূহের অন্তর্গত নয়।
ইমাম বুখারী (রহঃ) ইমাম মুসলিম (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ বিন ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, ليس التحصيب بشيئ তথা মুহাসসাবে অবস্থান করার কিছুই নেই। ইবনুল মুনযীর (রহঃ) বলেন, اى من أمر المناسك الذى يلزم فعله অর্থাৎ- এটা হজ্জের আবশ্যক কর্মসমূহের অন্তর্ভুক্ত নয়।
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) ইবনু আবী মুলায়কার সূত্রে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, (ثم ارتحل حتى نزل الحصبة) অর্থাৎ- অতঃপর তিনি সফর করে শেষ পর্যন্ত ‘‘হাসবাহ্’’ নামক স্থানে অবতরণ করলেন এবং তিনি বলেন, তিনি এখানে নেমেছিলেন শুধু আমার কারণে। অন্যান্য আরো কিছু হাদীস রয়েছে যা মুহাসসাবে অবতরণ করা এবং না করার প্রমাণ বহন করছে।
এর সমাধানকল্পে হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন, لكن لما نزله الشيئ كان النزول به مستحبا اتباعا له ولتقريره على ذلك وفعله الخلفاء অর্থাৎ- এ বিষয়ে বর্ণনা যাই থাকুক না কেন যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানে অবতরণ করেছেন তাই অবতরণ করা মুস্তাহাব এবং যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাকে সমর্থন করেছেন সহাবায়ে কিরামের একদলসহ খুলাফায়ে রাশিদীনও এ কাজ করেছেন।