লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দু‘আ
২৪২৮-[১৩] তালহা ইবনু ’উবায়দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নতুন চাঁদ দেখে বলতেন, ’’আল্ল-হুম্মা আহিল্লাহূ ’আলায়না- বিল আম্নি ওয়াল ঈমা-নি, ওয়াস্সালা-মাতি ওয়াল ইসলা-মি রব্বী ওয়া রব্বুকাল্ল-হু’’ (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমাদের প্রতি চাঁদকে উদয় করো নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের উপর। [হে চাঁদ!] আমার রব ও তোমার রব এক আল্লাহ।)। (তিরমিযী; তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান গরীব)[1]
عَن طلحةَ بنِ عبيدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَأَى الْهِلَالَ قَالَ: «اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ. وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
ব্যাখ্যা: চন্দ্র মাসের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাতের চাঁদকে الْهِلَالَ ‘‘আল হিলাল’’ বলা হয়। এর পরবর্তী রাতের চন্দ্রকে القمر ‘‘আল কামার’’ বলা হয়। ‘আল কামূস’-এ রয়েছে ‘‘আল হিলাল’’ হলো চন্দ্রের উজ্জ্বলতা অথবা দু’রাত থেকে তিন রাত অথবা সাত রাত পর্যন্ত এবং মাসের শেষের দু’রাত যথাক্রমে ২৬ ও ২৭তম রাত। এ ব্যতীত অন্যান্য রাতের চন্দ্রগুলোকে আল কামার বলা হয়। এ হাদীসে এ মর্মে সতর্কবাণী রয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলা নিদর্শনমালা প্রকাশ পাওয়ার সময় ও কোন অবস্থার পরিবর্তনে দু‘আ করা মুস্তাহাব। তাতে মস্তক অবনমিত হবে প্রতিপালকের দিকে, কখনোই প্রতিপালিতের দিকে নয়। আর এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করতে হবে উদ্ভাবকের উদ্ভাবনের দিকে, উদ্ভাবিত বস্ত্তর দিকে নয়।
‘আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীস থেকে এটি প্রতীয়মান হয় যে, নতুন চাঁদ দেখার সময় দু‘আ করা শারী‘আতসম্মত। যার উপর এ হাদীস সম্পৃক্ত রয়েছে।