পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দু‘আ
২৪২৯-[১৪] ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) ও আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা উভয়েই বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন বিপদগ্রস্ত লোককে দেখে বলবে,
’’আলহাম্দু লিল্লা-হিল্লাযী ’আ-ফা-নী মিম্মাব্ তালা-কা বিহী ওয়া ফায্যালানী ’আলা- কাসীরিম্ মিম্মান্ খলাকা তাফযীলা’’
(অর্থাৎ- আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, যিনি তোমাকে এতে পতিত করেছেন, তা হতে আমাকে নিরাপদে রেখেছেন। আর আমাকে তাঁর সৃষ্টির বহু জিনিস হতে বেশি মর্যাদা দান করেছেন।)। সে যেখানেই থাকুক না কেন তার ওপর এ বিপদ কক্ষনো পতিত হবে না। (তিরমিযী)[1]
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مِنْ رَجُلٍ رَأَى مُبْتَلًى فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلًا إِلَّا لَمْ يُصِبْهُ ذَلِكَ الْبَلَاءُ كَائِنا مَا كانَ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: নিশ্চয় সুস্থ থাকা বিপদগ্রস্ত থাকার চেয়ে অধিক প্রশস্ত। কেননা অসুস্থতা একটি অস্বস্তিকর বিষয় ও ফিতনা, আর ঐ সময় তা পরীক্ষাও বটে। আর দৃঢ় মু’মিন বা ঈমানদার দুর্বল ঈমানদারদের তুলনায় আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। যেমন- বর্ণিত রয়েছে,
আবূ জা‘ফার মুহাম্মাদ ইবনু ‘আলী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখবে তখন আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা করতে হবে এবং এ দু‘আটি মনে মনে বলতে হবে। বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে শুনানো যাবে না।