লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘আলার জিকির ও তাঁর নৈকট্য লাভ
২২৬৬-[৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার কোন বন্ধুকে শত্রু ভাবে আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করি। আমি আমার বান্দার ওপর যা কিছু (’আমল) ফরয করেছি; তা দ্বারা আমার সান্নিধ্য অর্জন করা আমার নিকট বেশী প্রিয় অন্য কিছু (’আমল) দিয়ে সান্নিধ্য অর্জনের চাইতে। আর আমার বান্দা সর্বদা নফল ’ইবাদাতের মাধ্যমে আমার নৈকট্য হাসিল করে। পরিশেষে আমি তাকে ভালবাসি এবং আমি যখন তাকে ভালবাসি- আমি হয়ে যাই তার কান, যা দিয়ে সে শুনে। আমি হয়ে যাই তার চোখ, যা দিয়ে সে দেখে। আমি হয়ে যাই তার হাত, যা দিয়ে সে ধরে (কাজ করে)। আমি হয়ে যাই তার পা, যা দিয়ে চলাফেরা করে। সে যদি আমার কাছে চায়, আমি তাকে দান করি। সে যদি আমার কাছে আশ্রয় চায়, আমি তাকে আশ্রয় দেই। আর আমি যা করতে চাই, তা করতে আমি মু’মিন বান্দার রূহ কবয করার মতো ইতস্তত করি না। কেননা মু’মিন (স্বাভাবিকভাবে) মৃত্যুকে অপছন্দ করে, আর আমি অপছন্দ করি তাকে অসন্তুষ্ট করতে। কিন্তু মৃত্যু তার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। (বুখারী)[1]
بَابُ ذِكْرِ اللّٰهِ عَزَّ وَجَلَّ وَالتَّقَرُّبُ إِلَيْهِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ: مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنِ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَنْ شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَنْ نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مُسَاءَتَهُ وَلَا بُدَّ لَهُ مِنْهُ . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: (وَلِيًّا) হাফেয ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) (ولى الله) আল্লাহর ওয়ালীর সংজ্ঞা হলো (العالم بالله المواظب على طاعته المخلص في عبادته) অর্থাৎ- যিনি আল্লাহ সম্পর্কে জানেন তার আনুগত্যে মশগুল থাকেন এবং তারই ‘ইবাদাতে একনিষ্ঠ। এমনটাই মতামত দিয়েছেন ‘আল্লামা বাদরুদ্দীন ‘আয়নী (রহঃ)।
(سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ) হাদীসের অত্র অংশটুকুকে ঘিরে একটি প্রশ্ন ও তার উত্তর।
প্রশ্নটি হলো কিভাবে আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘আলা স্বীয় বান্দার শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি হতে পারেন? এর অনেকগুলো উত্তর দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে যার মধ্যে সর্বোত্তমটি অর্থাৎ- তার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো আমার আনুগত্য ও বশ্যতা স্বীকার করে যেহেতু সে এমন কোন কিছু শুনে না যা আমি অপছন্দ করি, এমন কিছু দেখে না যা আমার অপছন্দনীয়, এমন কিছু ধরে না যা আমি অপছন্দ করি, এমন দিকে পা বাড়ায় না যা আমি অপছন্দ করি।