লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২২৫৭-[৩৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (দু’আর সময়) তোমাদের হাত বেশি উপরে উঠিয়ে ধরা বিদআত (বিদাত)। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কক্ষনো সিনা থেকে বেশি উপরে হাত উঠাতেন না। (আহমদ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ يَقُولُ: إِنَّ رَفْعَكُمْ أَيْدِيَكُمْ بِدْعَةٌ مَا زَادَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى هَذَا يَعْنِي إِلَى الصَّدْر رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: (إِلَى الصَّدْرِ) এর ব্যাখ্যায় ‘আল্লামা ত্বীবী (রহ্ঃ) বলেনঃ এ অংশটি ইবনু ‘উমার (রাঃ) এর দু‘আর ক্ষেত্রে রফ্‘উল ইয়াদাইনের ব্যাখ্যা স্বরূপ, অর্থাৎ- তিনি দু‘আর সময় হাত বুক পর্যন্ত উঠাতেন এবং তিনি উপস্থিত জনতার দু‘আর ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ে যে, হাত বেশী উপরে উত্তোলন করে থাকেন এবং হাত উত্তোলনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অবস্থার কোন তারতম্য করেন না- এ দু’টি বিষয়ের কঠোর সমালোচনা করেছেন। অর্থাৎ- হাত উত্তোলনের পরিমাণ হবে অবস্থার প্রেক্ষিতে কখনো বুক পর্যন্ত, কখনো তার উপর কাঁধ পর্যন্ত, আবার কখনো এরও উপরে।
লাম্‘আত গ্রন্থ প্রণেতা বলেনঃ ইবনু ‘উমার -এর কথা, (إِنَّ رَفْعَكُمْ أَيْدِيَكُمْ) ‘‘তোমাদের দু‘আর সময় বুকের উপর হাত উত্তোলন বিদআত (বিদাত)’’। অর্থাৎ- সর্বদাই অথবা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তোমাদের এরূপ করা এক্ষেত্রে প্রেক্ষাপটের প্রতি দৃষ্টিপাত না করা- এটি বিদআত (বিদাত) কারণ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরূপ (হাত উত্তোলনের ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত করার বিষয়ে) কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং তার অবস্থা ছিল ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে। তাই তো ইবনু ‘উমার বিষয়টি তার কথা ও কাজ উভয়টির মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন।
‘আল্লামা ইবনু হাজার (রহঃ) বলেনঃ ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর উপোরক্ত কথার ভিত্তি হলো তার নিজস্ব ‘ইলম। তিনি যা জেনেছেন তাই বলেছেন এবং তিনি দু‘আর ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ে হস্তদ্বয় কাঁধ বরাবর উঠানোর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তবে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর থেকে বর্ণিত কাঁধ পর্যন্ত বা ক্ষেত্র বিশেষে তার চেয়ে বেশী তোলার কথা বেশী শক্তিশালী সূত্রে প্রমাণিত। আর কোন বিষয়ে না এবং হ্যাঁ এর বিরোধ হলে, হ্যাঁ, অগ্রাধিকার পায়।
হাফেয ইবনু হাজার আল আসকালানী (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘উমার শুধুমাত্র দু’ কাঁধ বরাবর হাত তোলার বিষয়টি অস্বীকার তথা অবস্থা করেছেন এবং বুক পর্যন্ত উঠানোর পক্ষ নিয়েছেন। যদি ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর ‘আদাবুল মুফরাদ’ কিতাবে কাসিম বিন মুহাম্মাদণ্ডএর সূত্রে এর বিপরীত বর্ণনা পাওয়া যায়। সেখানে কাসিম বিন মুহাম্মাদ বলছেন, ‘‘আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে (القاص) আল্ কাস নামক স্থানে দু‘আ করতে দেখেছি যে, তিনি দু‘আর সময় দু’হাত কাঁধ বরাবর তুলেছেন।