পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২২৫৮-[৩৬] উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারো জন্য দু’আ করার সময় প্রথমে নিজের জন্য দু’আ করতেন। (তিরমিযী; তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান গরীব ও সহীহ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا ذَكَرَ أَحَدًا فَدَعَا لَهُ بَدَأَ بِنَفْسِهِ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيح
ব্যাখ্যা: (بَدَأَ بِنَفْسِه) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারো জন্য দু‘আ করলে আগে নিজের জন্য দু‘আ করে তারপর তার জন্য দু‘আ করতেন। এটা উম্মাতের জন্য এক প্রকার শিক্ষা যে, তারাও যেন কারো জন্য দু‘আ করলে সর্বপ্রথম নিজের জন্য দু‘আ করে নেয়।
ইমাম বুখারী (রহঃ) তাঁর সহীহাতে এ মর্মে ৮টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ কাজটি করা ওয়াজিব নয় বরং করা ভাল। কারণ অনেক হাদীস এমনও আছে, যেখানে আমরা দেখতে পাই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেকের জন্য দু‘আ করেছেন কিন্তু সেখানে নিজের কথা উল্লেখই করেননি। যেমনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য দু‘আ করেছেন কিন্তু সেখানে নিজের কথা উল্লেখ করেননি, যেমন- আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একটি হাদীস আছে আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লূত (আঃ)-এর জন্য দু‘আ করলেন, এমনভাবে সাহাবী ‘আবদুল্লাহ বিন ‘আব্বাস, হাসান বিন সাবিত, ইসমা‘ঈল (আঃ)-এর মাতা হাজিরা (আঃ) সহ আরো অনেকের জন্য দু‘আ করেছেন নিজের উল্লেখ ব্যতীত।