২১৪২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২১৪২-[৩৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার উবাই ইবনু কা’বকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি সালাতে কিভাবে কুরআন পড়ো? উত্তরে উবাই ইবনু কা’ব রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সূরা আল ফাতিহাহ্ পড়ে শুনালেন। (তাঁর পড়া শুনে) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহর কসম, যাঁর হাতে আমার জীবন! এর মতো কোন সূরা তাওরাত, ইঞ্জীল, যাবূর বা ফুরকান-এ (কুরআনের অন্য কোন সূরাতেও) নাযিল হয়নি। এ সূরা হলো সাব্’উল মাসানী (পুনরাবৃত্ত সাতটি আয়াত) ও মহান কুরআন। এটি আমাকেই দেয়া হয়েছে। (তিরমিযী। তিনি বলেন, এ হাদীসটি হাসান ও সহীহ। দারিমী বর্ণনা করেছেন, এর মতো কোন সূরা নাযিল করা হয়নি। তাঁর বর্ণনায় হাদীসের শেষের দিক ও উপরের বর্ণিত উবাই-এর ঘটনা বর্ণিত হয়নি।)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لِأُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ: «كَيْفَ تَقْرَأُ فِي الصَّلَاةِ؟» فَقَرَأَ أُمَّ الْقُرْآنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا أنزلت فِي التَّوْرَاة وَلَا فِي الْإِنْجِيل وَلَا فِي الزبُور وَلَا فِي الْفرْقَان مِثْلُهَا وَإِنَّهَا سَبْعٌ مِنَ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُعْطِيتُهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَرَوَى الدَّارِمِيُّ مِنْ قَوْلِهِ: «مَا أُنْزِلَتْ» وَلَمْ يَذْكُرْ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ

ব্যাখ্যা: সূরা আল ফাতিহাকে উম্মুল কুরআন বলা হয়েছে এজন্য যে, পূর্ণ কুরআনুল কারীমে যা রয়েছে সূরা ফাতিহার মধ্যে মৌলিকভাবে তা বিধৃত হয়েছে। অথবা উম্মুন অর্থ আসলুন, এটা আসলু কাওয়ায়িদুল কুরআন, এর উপরই আহকামুল ঈমান পরাক্রমশীল।

প্রশ্ন করা হয়েছিল মুত্বলাক কুরআন পাঠের উপর তিনি জওয়াব দিলেন সূরা আল ফাতিহাহ্ পাঠ করে আর তা এজন্য যে, এটি একটি জামি' সূরা এবং এটি আল কুরআনের মূল ভিত্তি। এর সমতুল্য কোন সূরা তাওরাত, যাবূর, ইঞ্জীলে তো নেই-ই এমনকি কুরআনের বাকী অংশেও নেই। কোন নাবীকেই এর সমতুল্য কোন সূরা দেয়া হয়নি। এ হলো সাব্‘উল মাসানী বা পুনঃপঠিত সপ্ত আয়াত এবং কুরআনে ‘আযীম বা মহা কুরআন।