২১৪১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২১৪১-[৩৩] ’আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পড়ে ও একে মুখস্থ করে, এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মেনে চলে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তার পরিবারের এমন দশ ব্যক্তির জন্য তার সুপারিশ কবূল করবেন, যাদের প্রত্যেকেরই নিশ্চিত ছিল জাহান্নাম। (আহমদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী। কিন্তু ইমাম তিরমিযী বলেছেন, এ হাদীসটি গরীব। এর একজন বর্ণনাকারী হাফস ইবনু সুলায়মান হাদীস বর্ণনায় দুর্বল।)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فَاسْتَظْهَرَهُ فَأَحَلَّ حَلَالَهُ وَحَرَّمَ حَرَامَهُ أَدْخَلَهُ اللَّهُ بِهِ الْجَنَّةَ وَشَفَّعَهُ فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ كُلِّهِمْ قَدْ وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيب وَحَفْص بن سُلَيْمَان الرَّاوِي لَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ يَضْعُفُ فِي الْحَدِيثِ

وعن علي بن ابي طالب رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من قرا القران فاستظهره فاحل حلاله وحرم حرامه ادخله الله به الجنة وشفعه في عشرة من اهل بيته كلهم قد وجبت له النار. رواه احمد والترمذي وابن ماجه والدارمي وقال الترمذي: هذا حديث غريب وحفص بن سليمان الراوي ليس هو بالقوي يضعف في الحديث

ব্যাখ্যা: যে কুরআন পড়ে এবং মুখস্থ রাখে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তার দ্বারা দীনের শক্তি ও সাহায্য অনুসন্ধান করে এবং কুরআনের নিষেধাজ্ঞাসমূহ থেকে বিরত থাকার শক্তি কামনা করে। তার হালালকেই প্রকৃত হালাল জ্ঞান করে এবং তার হারামকে নির্দ্বিধায় হারাম মনে করে আল্লাহ তা‘আলা তাকে প্রথম পর্যায়েই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তিনি এমন দশজনকে সুপারিশ করবেন যাদের ওপর জাহান্নাম আবশ্যক হয়ে গিয়েছিল। দশজনকে বলতে কোন কাফির মুশরিক বেদীন নন, বরং মুসলিম যিনি অতি গুনাহের কারণে জাহান্নামের অধিবাসী হয়েছিলেন।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন, এ হাদীস তাদের কথাকে রদ করে যারা ধারণা করে থাকে যে, শাফা‘আত হবে শুধু মর্যাদা সমুন্নত করার জন্য; মানুষের পাপের বোঝা অপসারণের জন্য নয়। এই ভিত্তিতে তারা এটাও বলে থাকে যে, মুরতাকিবে কাবায়ির দ্বারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয় তার ক্ষমার কোন সম্ভাবনাই নেই। জাহান্নাম যার ওপর ওয়াজিব হয়েছিল এমন ব্যক্তিকে সুপারিশ করবে। এই ওয়াজিব বলতে এখানে সিদ্ধান্ত হওয়া, অর্থাৎ- যার জন্য জাহান্নামের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)