২০৩২

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - (সিয়াম) কাযা করা

২০৩২-[৩] মু’আযাহ্ আল ’আদাবিয়্যাহ্ (রহঃ) (কুনিয়াত উম্মুস্ সুহবা) থেকে বর্ণিত। তিনি উম্মুল মু’মিনীনাহ্ ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ঋতুবতী মহিলাদের সওম কাযা করতে হয়, অথচ সালাত কাযা করতে হয় না, কারণ কী? ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় আমাদের যখন মাসিক হত, তখন সওম কাযা করার হুকুম দেয়া হত। কিন্তু সালাত কাযা করার হুকুম দেয়া হত না। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْقَضَاءِ

وَعَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ أَنَّهَا قَالَتْ لِعَائِشَةَ: مَا بَالُ الْحَائِضِ تَقْضِي الصَّوْمَ وَلَا تَقْضِي الصَّلَاةَ؟ قَالَتْ عَائِشَةُ: كَانَ يُصِيبُنَا ذَلِكَ فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلَا نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلَاةِ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

ব্যাখ্যা: ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে এটা জিজ্ঞেস করার কারণ হলো, ‘সালাত এবং সিয়াম’ উভয়টি হুকুমগতভাবে সমান হবে, এটাই বিবেকের দাবি। কারণ উভয়টি তো ‘ইবাদাত, এবং বিশেষ কারণে তা পরিত্যাগ করতে হয়। সুতরাং সিয়াম কাযা ওয়াজিব। আর সালাত কাযা ওয়াজিব নয়, এটা জিজ্ঞাসাকারীর বোধগম্য ছিল না। এ মর্মে ইমাম বুখারী (রহঃ) তার বিশুদ্ধ গ্রন্থে সিয়াম অধ্যায়ে আবূয্ যিনাদ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই সুন্নাতসমূহ ও হুকুমের বিভিন্ন দিক অধিকাংশ ক্ষেত্রে যুক্তির বিপরীতে আসে কাজেই মুসলিমগণ শারী‘আতে যা পাবে তার অনুসরণ করবে। সুতরাং ঋতুমতী নারী সিয়াম কাযা করবে এবং সালাত কাযা করবে না।

তবে ফিকহবিদগণ সালাত ও সিয়ামের পার্থক্য নির্ধারণে বলেছেন, সালাত কাযা করার বিধান না থাকার মাঝে হিকমাত হলোঃ সালাত বার বার আদায় করতে হয় বিধায় তা কাযা করা অত্যন্ত কঠিন। (অর্থাৎ- ঋতুস্রাব সাধারণত ৩, ৫, ৭, ১০ দিন পর্যন্ত হয়, যে নারীর মাসিক ১০ দিন হয় তার ১০x৫= ৫০ ওয়াক্ত সালাত কাযা করতে হবে যা খুবই কঠিন) পক্ষান্তরে সিয়াম বছরে মাত্র একবার যা কাযা করা মোটেই কঠিন নয়। তবে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) শুধু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশের কথা বলেছেন। সুতরাং ফকীহদের এ রহস্য জানার প্রয়োজন নেই।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ