২০৩১

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - (সিয়াম) কাযা করা

২০৩১-[২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন নারীর উচিত নয় স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া নফল সওম পালন করা। ঠিক তেমনই কোন নারীর জন্য স্বামীর অনুমতি ছাড়া কাউকে ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়াও অনুচিত। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْقَضَاءِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَحِلُّ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تَصُومَ وَزَوْجُهَا شَاهِدٌ إِلَّا بِإِذْنِهِ وَلَا تَأْذَنَ فِي بَيْتِهِ إِلَّا بِإِذْنِهِ» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا يحل للمراة ان تصوم وزوجها شاهد الا باذنه ولا تاذن في بيته الا باذنه» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা মুল্লা ‘আলী কারী (রহঃ) বলেন, স্ত্রীর জন্য তার নিকট কিংবা দূরবর্তী আত্মীয় এমনকি কোন নারীকেও স্বামীর অনুমতি ব্যতীত প্রবেশের অনুমতি দেয়া বৈধ নয়।

‘আল্লামা নাবাবী (রহঃ) স্বামীর অনুমতি ব্যতীত স্ত্রীর কাউকে তার বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি দিতে পারবে না। এটা যে ব্যাপারে স্বামীর অনুমোদন সম্পর্কে অবহিত হওয়া না যাবে সে ক্ষেত্রে, অর্থাৎ- পূর্ব হতে এ মর্মে স্বামীর অনুমোদন যদি না থাকে। তবে কারো প্রবেশে যদি স্বামীর সন্তুষ্টি সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায় তখন তার প্রবেশে কোন সমস্যা নেই। যেমন স্বভাবগতভাবেই যে সকল মেহমানদের প্রবেশের অনুমতি আছে, চাই স্বামী উপস্থিত থাকুক বা না থাকুক।

আর স্বামীর অনুমতি ব্যতীত স্ত্রীর সিয়াম পালনের ক্ষেত্রে তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ্’র বর্ণনায় রয়েছে যে, স্ত্রী তার স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া রমাযান (রমজান) ব্যতীত কোন সিয়াম পালন করতে পারবে না। তবে ঐ সকল মেহমান স্ত্রীর জন্য মাহরাম হওয়া জরুরী।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)