লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পর্বের বিক্ষিপ্ত মাস্আলাহ্
১৯৮৯-[৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমার কাছে সে বান্দা বেশী প্রিয় যে (সময় হয়ে যাবার সাথে সাথে) ইফতার করতে ব্যস্ত হয়। (তিরমিযী)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: أَحَبُّ عِبَادِي إِلَيَّ أَعْجَلُهُمْ فطرا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: (أَعْجَلُهُمْ فِطْرًا) ‘‘তাদের মধ্যে দ্রুত ইফতারকারী’’ অর্থাৎ স্বচক্ষে সূর্যাস্ত দেখে অথবা সংবাদের মাধ্যমে সূর্যাস্ত সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে দ্রুত ইফতার করে। ত্বীবী বলেনঃ এ পছন্দের কারণ সম্ভবত এই যে, এতে সুন্নাতের অনুসরণ, বিদআত (বিদাত) হতে দূরে অবস্থান এবং আহলে কিতাবদের সাথে মুখালাফাত তথা তাদের বিরোধিতা করা হয়। ইবনু মালিক বলেনঃ যে ব্যক্তি সালাত আদায়ের পূর্বে ইফতার করে সে শান্ত মনে একাগ্রতার সাথে সালাত আদায় করতে সক্ষম হয়। অতএব যার অবস্থা এরূপ সে ঐ ব্যক্তির চাইতে আল্লাহর নিকট বেশী প্রিয় যার অবস্থা এমন নয়। আমীর ইয়ামানী বলেনঃ অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, বিলম্ব না করে দ্রুত ইফতার করা আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় কাজ। সূর্যাস্তের পর ইফতার না করে সাহরী পর্যন্ত সিয়াম বিসাল করা বৈধ হলেও তা উত্তম নয়। তবে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিষয়টি ভিন্ন। কেননা তিনি সাধারণ লোকদের মতো নন। অতএব দ্রুত ইফতার না করলেও আল্লাহর নিকট তিনি সকল সায়িমের চাইতে প্রিয়, কেননা তাকে সওমে বিসাল করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।