১৬৬১

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা

১৬৬১-[১৬] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির সালাতে জানাযায় একশতজন মুসলিমের দল হাযির থাকবে, তাদের প্রত্যেকেই তার জন্য শাফা’আত (মাগফিরাত কামনা) করবে। তাহলে তার জন্য তাদের এ শাফা’আত (কবূল) হয়ে যাবে। (মুসলিম)[1]

الْمَشْيُ بِالْجَنَازَةِ وَالصَّلَاةُ عَلَيْهَا

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا مِنْ مَيِّتٍ تُصَلِّي عَلَيْهِ أُمَّةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَبْلُغُونَ مِائَةً كُلُّهُمْ يَشْفَعُونَ لَهُ: إِلَّا شفعوا فِيهِ . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: একশত মুসলিম জানাযায় অংশগ্রহণ পূর্বক মাইয়্যিতের জন্য সুপারিশ করলে আল্লাহ তাদের সুপারিশ কবূল করবেন। এ সুপারিশের অর্থ দু‘আ।

জানাযার লোক বেশী হওয়া চাই যাতে তাদের দু‘আ কবূলযোগ্য হয় এবং মৃত ব্যক্তি এর মাধ্যমে সফলতা লাভ করতে পারেন। মৃত ব্যক্তির জন্য সুপারিশকারীদের দু’টি শর্ত থাকতে হবে।

(এক) সুপারিশকারীকে অবশ্যই মুসলিম হতে হবে এবং শির্কমুক্ত থাকতে হবে।

(দুই) সুপারিশকারী খালেসভাবে দু‘আ মাগফিরাত কামনা করবে।

মালিক ইবনু হুবায়রার হাদীসে এসেছে তিন কাতার লোক যার জানাযায় অংশগ্রহণ করে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য (জান্নাত) ওয়াজিব করে দেন।

তিন কাতার, চল্লিশজন এবং একশতজন অংশগ্রহণের এ নানামুখী বর্ণনার ব্যাপারে ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, প্রথমে একশতজনের সুপারিশের কথা বলা হয়েছিল, তাই তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেভাবেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এরপর চল্লিশজনের, অতঃপর তিন কাতারের কথা জানানো হয়েছিল ফলে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  সেভাবেই পর্যায়ক্রমে হাদীস বর্ণনা করে জনগণকে অবহিত করেছেন।

ক্বাযী ‘আয়ায (রহঃ) বলেন, প্রশ্নকারীদের প্রশ্নের ভিন্নতাসাপেক্ষে (উত্তরের) এ ভিন্নতা হয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ