লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত
১৪৩৬-[১১] জুনদুব ইবনু ’আবদুল্লাহ আল বাজালী (রাঃ)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাতের আগে যাবাহ করেছে সে যেন এর পরিবর্তে (সালাতের পরে) আর একটি যাবাহ করে। আর যে ব্যক্তি আমাদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের পূর্ব পর্যন্ত যাবাহ করেনি সে যেন (সালাতের পর) আল্লাহর নামে যাবাহ করে (এটাই প্রকৃত কুরবানী)। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ صَلَاةِ الْعِيْدَيْنِ
وَعَنْ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلَاةِ فَلْيَذْبَحْ مَكَانَهَا أُخْرَى وَمَنْ لَمْ يَذْبَحْ حَتَّى صَلَّيْنَا فَلْيَذْبَحْ على اسْم الله»
ব্যাখ্যা: (فَلْيَذْبَحْ على اسْم الله) আল্লাহর নামে যেন যাবাহ করে। আর বুখারীতে এসেছে আনাস (রাঃ) হতে وسمى وكبر যাবাহর সময় ‘বিসমিল্লা-হ’ ও ‘আল্ল-হু আকবার’ বলেছেন। ক্বাযী ‘আয়ায বলেনঃ ‘আল্লাহর নামে শুরু’ চার ধরনের অর্থ হবে।
১। আল্লাহর জন্য যাবাহ করছে।
২। আল্লাহর সুন্নাতে বা নীতিতে যাবাহ করছে।
৩। তার যাবাহটা আল্লাহর নামে প্রকাশ করা ইসলামের উদ্দেশে এবং তার বিরোধিতা করা যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে যাবাহ করে এবং শায়ত্বন (শয়তান)কে অপমানিত করার জন্য।
৪। আল্লাহর নামের মাধ্যমে বারাকাত কামনা করা হাফিয ইবনু হাজার ৫ম অর্থ বলেছেন বিস্মিল্লা-হ বলার মাধ্যমে যাবাহের অনুমোদন চাওয়া।
(فَلْيَذْبَحْ مَكَانَهَا أُخْرى) সে যেন এর স্থলে অন্য একাটি পশু যাবাহ করে। এটি প্রমাণ করে কুরবানী ওয়াজিব আর যারা ওয়াজিব বলেন না তারা এটি দ্বারা উদ্দেশ্য ‘সুন্নাহ’ মনে করেন।