পরিচ্ছেদঃ ৪৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত
১৪৩৫-[১০] বারা ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক কুরবানীর ঈদের দিন আমাদের সামনে এক ভাষণ প্রদান করেন। তিনি বলেন, এ ঈদের দিন প্রথমে আমাদেরকে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে হবে। এরপর আমরা বাড়ী গিয়ে কুরবানী করব। যে ব্যক্তি এভাবে কাজ করল সে আমাদের পথে চলল। আর যে ব্যক্তি আমাদের সালাত আদায় করার পূর্বে কুরবানী করল সে তার পরিবারের জন্য তাড়াতাড়ি যাবাহ করে নিশ্চয়ই তা মাংস ভক্ষণের ব্যবস্থা করল তা কুরবানীর কিছুই নয়। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ صَلَاةِ الْعِيْدَيْنِ
وَعَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: خَطَبَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ النَّحْرِ فَقَالَ: «إِنَّ أَوَّلَ مَا نَبْدَأُ بِهِ فِي يَوْمِنَا هَذَا أَنْ نُصَلِّيَ ثُمَّ نَرْجِعَ فَنَنْحَرَ فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ أَصَابَ سُنَّتَنَا وَمَنْ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ نُصَلِّيَ فَإِنَّمَا هُوَ شَاةُ لَحْمٍ عَجَّلَهُ لِأَهْلِهِ لَيْسَ مِنَ النُّسُكِ فِي شَيْءٍ»
ব্যাখ্যা: (لَيْسَ مِنَ النُّسُكِ فِي شَيْءٍ) ফলে কুরবানীর সাথে এর কোন সম্পর্ক থাকবে না তথা এটি আর ‘ইবাদাত হিসেবে গণ্য হবে না বরং এমন গোশ্ত (গোশত/গোস্ত/গোসত) হবে যা পরিবারের জন্য (খাদ্য হিসেবে) উপকার হবে। হাদীসটি প্রমাণ করে যাবাহ করার সময় হবে ইমামের সাথে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের পর। আর শর্ত জুড়ে দেয়া হয়নি যে, ইমামের কুরবানীর দিকে। আর যে সালাতের পূর্বে যাবাহ করবে তার কুরবানী বৈধ হবে না।