লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - ভয়কালীন সালাত
১৪২৩-[৪] জাবির (রাঃ) হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে ’সালাতুল খাওফ’ আদায় করলেন। আমরা তাঁর পেঁছনে দু’টি সারি বানালাম। শত্রুপক্ষ তখন আমাদের ও ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)র মাঝখানে ছিল। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরে তাহরীমা বাঁধলেন। আমরা তার সাথে তাকবীরে তাহরীমা বাঁধলাম। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রুকূ’ করলেন। আমরাও তাঁর সাথে রুকূ’ করলাম। অতঃপর তিনি রুকূ’ হতে মাথা উঠালেন। আমরাও মাথা উঠালাম। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও যে সারি তাঁর নিকটবর্তী ছিল, তারা সাজদায় চলে গেলেন। আর পেছনের সারি শত্রুর মুকাবিলায় দাঁড়িয়ে রইল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) শেষ করলে তাঁর নিকটবর্তী সারি সিজদা্ হতে উঠে দাঁড়ালে পেছনের সারি সাজদায় গেল। তারপর তারা উঠে দাঁড়াল। এরপর পেছনের সারি সামনে আসলো। সামনের সারি পেছনে সরে গেল। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ’ করলেন। আমরা সবাই তাঁর সাথে রুকূ’ করলাম। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রুকূ’ হতে মাথা উঠালেন। আমরা সবাই মাথা উঠালাম। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তাঁর নিকটবর্তী সারি অর্থাৎ প্রথম রাক্’আতে যারা পেছনে ছিল সাজদায় গেলেন। আর পরবর্তী সারি শত্রুর মুকাবিলায় দাঁড়িয়ে রইলেন। যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর নিকটবর্তী সারি সিজদা্ শেষ করলে পরবর্তী সারি সাজদায় গেলেন। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরালেন। আমরা সবাই সালাম ফিরালাম। (মুসলিম)[1]
بَابُ صَلَاةِ الْخَوْفِ
وَعَن جَابر قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْخَوْفِ فَصَفَفْنَا خَلْفَهُ صَفَّيْنِ وَالْعَدُوُّ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ فَكَبَّرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَبَّرْنَا جَمِيعًا ثُمَّ رَكَعَ وَرَكَعْنَا جَمِيعًا ثمَّ رفع رَأسه من الرُّكُوع ورفعنا جَمِيعًا ثُمَّ انْحَدَرَ بِالسُّجُودِ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ وَقَامَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ فِي نَحْرِ الْعَدُوِّ فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السُّجُودَ وَقَامَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ انْحَدَرَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ بِالسُّجُودِ ثُمَّ قَامُوا ثُمَّ تَقَدَّمَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ وَتَأَخَّرَ الْمُقَدَّمُ ثُمَّ رَكَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَكَعْنَا جَمِيعًا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ من الرُّكُوع ورفعنا جَمِيعًا ثمَّ انحدر بِالسُّجُود وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ الَّذِي كَانَ مُؤَخَّرًا فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى وَقَامَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ فِي نَحْرِ الْعَدو فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السُّجُودَ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ انْحَدَرَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ بِالسُّجُودِ فَسَجَدُوا ثُمَّ سَلَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَلَّمْنَا جَمِيعًا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
ব্যাখ্যা: (فَصَفَفْنَا خَلْفَه صَفَّيْنِ وَالْعَدُوُّ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ) আমরা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে দু’টি ছফ করলাম। শত্রুরা তখন আমাদের এবং ক্বিবলার মধ্যস্থলে ছিল। মুসলিমরা কাদের সাথে যুদ্ধ করেছেন তা আবূ আইয়্যাশ এর হাদীস তা সুস্পষ্ট করে দিয়েছে যা আহমাদ, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, বায়হাক্বী ও ইবনু হিব্বানে এসেছে। তিনি বলেন, আমরা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে জুহায়নাহ্ জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলাম তারা আমাদের সাথে প্রচন্ড যুদ্ধ করছিল। যখন যুহরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) পড়ছিলাম মুশরিকরা বলছিল, এ অবস্থায় যদি তাদেরকে (মুসলিমদেরকে) আক্রমণ করি তাহলে আমরা তাদেরকে কেটে টুকরা টুকরা করতে পারব তখন জিবরীল (আঃ) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সংবাদ দিলেন আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও আমাদেরকে এটা জানালেন। রাবী বলেন, সাহাবীরা জবাব দিলেন তাদের সামনে সালাত আসবে আর এটা তাদের সন্তানের চেয়েও বেশি প্রিয় যখন ‘আসরের সালাত উপস্থিত হল। আমরা দু’সারিতে সারিবদ্ধ হলাম মুশরিকরা আমাদের ও ক্বিবলার মধ্যখানে।
হাদীস প্রমাণ করে শত্রু যদি ক্বিবলার দিকে অবস্থান করে তাহলে সকলেই সালাতে অংশগ্রহণ করেও তাদের বিরুদ্ধে প্রটোকল বা পাহারা দিতে পারবে। তবে সমস্যা হচ্ছে শুধুমাত্র সিজদানত অবস্থায় রুকু’তে না এমতাবস্থায়ও শত্রুর বিপক্ষে পাহারা দেয়া যায়, ফলে সকলেই ক্বিয়াম (কিয়াম) ও রুকু’তে ইমামের অনুসরণ করে আর প্রথম দু’ সাজদাতে পেছনের সারি পাহারারত থাকে ইমামের অনুসরণ ছেড়ে দিয়ে অতঃপর প্রথম সারি দাঁড়ানো অবস্থায় তারা সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) দেয় আর পেছনের সারি প্রথম সারির স্থানে চলে আসে আর প্রথম সারি দ্বিতীয় সারির স্থানে চলে আসে যাতে করে পিছনের সারি ইমামের অনুসরণ করে শেষ দু’ সাজদায়। এভাবে প্রত্যেক দু’ দলই দু’ সিজদা্ দিয়ে ইমামের অনুসরণ করে।