লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইমামের দায়িত্ব
১১৩৫-[৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে হালকা করে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর তিনি আমাদেরকে যখন সালাত আদায় করাতেন সাফফাত সূরাহ্ দিয়ে সালাত আদায় করাতেন। (নাসায়ী)[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُنَا بِالتَّخْفِيفِ وَيَؤُمُّنَا ب (الصافات) رَوَاهُ النَّسَائِيّ
ব্যাখ্যা: (يَأْمُرُنَا بِالتَّخْفِيفِ) অর্থাৎ ইমাম হওয়া অবস্থায় সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হালকা করা। হালকাকরণ থেকে উদ্দেশ্য ক্বিরাআতের ক্ষেত্রে হাদীসসমূহে যা নির্ধারণ করা হয়েছে ও উল্লেখ করা হয়েছে সে অনুযায়ী হালকা করা। (وَيَؤُمُّنَا بالصافات) নিজ ক্বিরাআত (কিরআত) শোনানোর ক্ষেত্রে মুক্তাদীদের উৎসাহিত করার জন্য এবং ক্বিরাআত (কিরআত) দীর্ঘ করার উপর সাহাবীদের সামর্থ্য থাকার কারণে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন করতেন।
আর তা এভাবে যে, তাদের দিকে দৃষ্টি দিয়ে এতটুকু হালকা মনে হত। সুতরাং বিষয়টি ঐ দিকে প্রত্যাবর্তন করল যে, ইমামের উচিত মুক্তাদীদের প্রতি লক্ষ্য রাখা। এটি সিনদী এর উক্তি। ত্বীবী বলেন, একমতে বলা হয়েছে সালাত হালকা করার ব্যাপারে রসূলের নির্দেশ, অপরদিকে সূরাহ্ আস্ স-ফফা-ত দিয়ে তাদেরকে নিয়ে ইমামতি করা উভয় কাজের মাঝে বৈপরীত্য রয়েছে। এর উত্তরে বলা হয়েছে, এ বৈপরীত্য তখন আবশ্যক হবে যখন রসূলের জন্য এমন কোন মর্যাদা থাকবে না যার সাথে তিনি বিশেষিত। আর তা হল অল্প সময়ে অনেক আয়াত পাঠ করা। একমতে বলা হয়েছে, সম্ভবত এটা তিনি কখনো বৈধতা বর্ণনা করে দেয়ার জন্য করেছেন। ইমাম নাসায়ী এ দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
যেমন তিনি ইমামের উপর দায়িত্ব সালাতকে হালকা করা এ অধ্যায়ের পরে এ হাদীসটির উপর একটি অধ্যায় বেঁধেছেন যার নাম সালাত দীর্ঘ করার ক্ষেত্রে ইমামের সুযোগ বা অবকাশ।