লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের কাতার সোজা করা
১০৮৮-[৪] আবূ মাস্’ঊদ আল আনসারী (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের সময় আমাদের কাঁধে হাত রেখে বলতেনঃ সোজা হয়ে দাঁড়াও, সামনে পিছনে হয়ে দাঁড়িও না। অন্যথায় তোমাদের অন্তরে বিভেদ সৃষ্টি হবে। আর তোমাদের যারা বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী, তারা আমার নিকট দাঁড়াবে। তারপর সমস্ত লোক যারা তাদের নিকটবর্তী (মানের), তারপর ঐসব লোক যারা তাদের নিকটবর্তী হবে। আবূ মাস্’ঊদ (রাঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করে বলেছেন, আজকাল তোমাদের মাঝে বড় মতভেদ। (মুসলিম)[1]
بَابُ تَسْوِيَةِ الصَّفِّ
وَعَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْسَحُ مَنَاكِبَنَا فِي الصَّلَاةِ وَيَقُولُ: «اسْتَوُوا وَلَا تَخْتَلِفُوا فَتَخْتَلِفَ قُلُوبكُمْ ليليني مِنْكُم أولُوا الْأَحْلَامِ وَالنُّهَى ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ» . قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ: فَأَنْتُمُ الْيَوْمَ أَشَدُّ اخْتِلَافا. رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা : উপরোক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায়, মানুষের বাহ্যিক বিভিন্নমুখী হয়ে যাওয়া তাদের অভ্যন্তরীণ দিক বিভিন্নমুখী হয়ে যাওয়ার কারণ। অপরদিকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি ‘জ্ঞানে ও বুদ্ধিতে যারা বড় তারা যেন তাঁর কাছাকাছি দাঁড়ায়’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা রসূলের সালাতের বিষয়গুলো ভাল করে বুঝবে এবং সালাতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উযূ (ওযু/ওজু/অজু) ছুটে গেলে যেন তাদের কাউকে সেখানে দাঁড় করিয়ে যেতে পারেন এবং সালাতের পরে অন্য সময়ে যেন সালাতের বিষয়গুলো মানুষকে জানাতে পারে। ইমাম নাবাবী বলেন, উল্লেখিত হাদীসে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের মর্যাদার স্তর হিসেবে তাদেরকে মর্যাদা দান করেছেন, কারণ তিনি সম্মান করার বেশি অধিকার রাখেন। কখনো প্রয়োজনবোধে যেন ইমাম হিসেবে কাউকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করতে পারেন। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে কোন কিছু ভুলে গেলে যেন তারা লোকমা দিতে পারেন।
রসূলের সালাতের বৈশিষ্ট্য যেন সংরক্ষণ করতে পারেন, মানুষকে তা শিক্ষা দিতে পারেন, তাদের পেছনের ব্যক্তিরা যেন তাদের সালাতের অনুসরণ করতে পারেন। পরিশেষে বলা যেতে পারে একজন ইমামকে মুসল্লীদের কাতার সোজা করার ব্যাপারে ব্যাপক গুরুত্ব দিতে হবে।