পরিচ্ছেদঃ ২৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের কাতার সোজা করা
১০৮৯-[৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মাঝে বুদ্ধিমান ও বিজ্ঞজন (সালাতে) আমার নিকট দিয়ে দাঁড়াবে। তারপর দাঁড়াবে তাদের নিকটবর্তী স্তরের লোক। এ কথা তিনি তিনবার উচ্চস্বরে বললেন। আর তোমরা (মসজিদে) বাজারের ন্যায় হৈ চৈ করবে না। (মুসলিম)[1]
بَابُ تَسْوِيَةِ الصَّفِّ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِيَلِنِي مِنْكُمْ أُولُو الْأَحْلَامِ وَالنُّهَى ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ» ثَلَاثًا وَإِيَّاكُم وهيشات الْأَسْوَاق . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: উপরোক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক জ্ঞানবান ব্যক্তিগণ ইমামের কাছাকাছি দাঁড়াবে, ইমামের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সংরক্ষণ করবে এবং তাদের পেছনে যারা থাকবে তারা তাদের অনুসরণ করবে। ইমাম ইবনু মাজাহ ও বায়হাক্বী এক নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণনা করেন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কাছে সালাতে মুহাজির আনসারীদের অবস্থান করাকে ভালবাসতেন যাতে তাঁরা তাঁর কাছ থেকে মাসআলাহ্ মাসায়েল জেনে নিতে পারে। অপরদিকে বুঝা যায় মসজিদে কোন মুসল্লীর পক্ষে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা পারস্পারিক টানা হেঁচড়া করা, বাদানুবাদ করা, উঁচু আওয়াজ করা, গোলমাল করা ও ফিৎনাহ্ সৃষ্টি করা উচিত নয়। কারণ মাসজিদ সালাতের স্থান যেখানে মুসল্লী আল্লাহর সামনে হাজির হয়, সুতরাং এমতাবস্থায় মুসল্লীদের দায়িত্ব চুপ থাকা ও ‘ইবাদাতের শিষ্টাচার রক্ষা করা।