১০৫৫

পরিচ্ছেদঃ ২৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - জামা‘আত ও তার ফযীলত সম্পর্কে

১০৫৫-[৪] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি এক শৈত্য প্রবাহে শীতের রাতে সালাতের আযান দিলেন। আযান দেয়ার পর তিনি বললেন, সাবধান! তোমরা নিজ নিজ আবাসে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় কর। এরপর বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঠান্ডা শীত-বৃষ্টি মুখর রাতে মুয়াযযিনকে আদেশ দিতেন সে আযান দেয়ার পর যেন বলে দেয়, ’সাবধান! তোমরা নিজ নিজ অবস্থানে সালাত আদায় কর।’ (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْجَمَاعَةِ وَفَضْلِهَا

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّهُ أَذَّنَ بِالصَّلَاةِ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ بَرْدٍ وَرِيحٍ ثُمَّ قَالَ أَلَا صَلُّوا فِي الرِّحَالِ ثُمَّ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُ الْمُؤَذِّنَ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةٌ ذَاتُ بَرْدٍ وَمَطَرٍ يَقُولُ: «أَلَا صَلُّوا فِي الرِّحَالِ»

ব্যাখ্যা: (أَلَا صَلُّوا فِي الرِّحَالِ) ‘তোমরা বাড়ীতেই সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় কর’। رحال শব্দটি رحل-এর বহুবচন যার অর্থ বাসস্থান ও আসবাবপত্র রাখার জায়গা। এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, ঠান্ডা, বৃষ্টি এবং প্রচন্ড বায়ু এগুলোর প্রত্যেকটিই জামা‘আত ত্যাগ করার জন্য ওযর। জমহূর ‘উলামাদের অভিমত এটিই। তবে শাফি‘ঈ, মালিকী ও হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ অভিমত হল প্রচন্ড ঠান্ডা দিবা-রাত্রি সকল সময়ের জন্যই ওযর। উপরে বর্ণিত বাক্যটি মুয়াযযিন কখন বলবে? এ বিষয়ে বুখারীর একটি বর্ণনায় পাওয়া যায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়াযযিনকে আযান দেয়ার নির্দেশ দিতেন। অতঃপর আযান শেষে উপরোক্ত বাক্য উচ্চারণের নির্দেশ দিতেন। কিন্তু বুখারী ও মুসলিমে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, মুয়াযযিন যখন حى على الصلوة বলার স্থনে পৌঁছালেন তখন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) মুয়াযযিনকে حى علي الصلاة حى على الفلاح এর পরিবর্তে উক্ত বাক্য বলতে আদেশ দিলেন এবং বললেন আমার চেয়ে উত্তম ব্যক্তি অর্থাৎ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করেছেন। এতে বুঝা যায় যে, উভয় পদ্ধতিই জায়িয আছে। তবে উত্তম হলো আযানের শেষে তা বলা যাতে আযানের ছন্দ বিনষ্ট না হয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ