১০৫৬

পরিচ্ছেদঃ ২৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - জামা‘আত ও তার ফযীলত সম্পর্কে

১০৫৬-[৫] উক্ত রাবী [’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কারো রাতের খাবার সামনে রাখা হলে এমতাবস্থায় সালাতের তাকবীর বলা হলে, তখন রাত্রের খাবার খাওয়া শুরু করবে। খাবার খেতে তাড়াহুড়া করবে না খাবার শেষ না হওয়া পর্যন্ত। ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর সামনে খাবার রাখা হত এমতাবস্থায় সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শুরু হলে তিনি খাবার খেয়ে শেষ করার আগে সালাতের জন্য যেতেন না, এমনকি তিনি ইমামের ক্বিরাআত (কিরআত) শুনতে পেলেও। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْجَمَاعَةِ وَفَضْلِهَا

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا وُضِعَ عَشَاءُ أَحَدِكُمْ وَأُقِيمَتِ الصَّلَاة فابدؤوا بِالْعَشَاءِ وَلَا يَعْجَلْ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْهُ» وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُوضَعُ لَهُ الطَّعَامُ وَتُقَامُ الصَّلَاةُ فَلَا يَأْتِيهَا حَتَّى يَفْرُغُ مِنْهُ وَإِنَّهُ لِيَسْمَعَ قِرَاءَةَ الْإِمَامِ

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اذا وضع عشاء احدكم واقيمت الصلاة فابدووا بالعشاء ولا يعجل حتى يفرغ منه» وكان ابن عمر يوضع له الطعام وتقام الصلاة فلا ياتيها حتى يفرغ منه وانه ليسمع قراءة الامام

ব্যাখ্যা: (إِذَا وُضِعَ عَشَاءُ أَحَدِكُمْ) ‘যখন তোমাদের রাতের খাবার উপস্থিত করা হয়’। এ বাক্য থেকে জানা যায় যে, যখন খাবার উপস্থিত করা হয় তথন আগে খেয়ে পরে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করাই উত্তম। তবে খাবার রান্না করা থাকলে বা তা পাত্রে সংরক্ষিত থাকলেও যদি তা খাবার জন্য উপস্থিত না করা হয় তবে আগে সালাত আদায় করে নিবে।

(فَابْدَؤُوْا بِالْعَشَاءِ) ‘আগে রাতের খাবার খেয়ে নাও’। এখানে আদেশের মর্মার্থ নিয়ে ‘আলিমদের মতভেদ রয়েছে। জমহূর ‘উলামাদের মতে এ নির্দেশ ওয়াজিব বুঝায় না বরং তা উত্তম বা পছন্দনীয়। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের আহবানে সাড়া দিয়ে খাবার অবস্থায় স্বীয় হাতের গোশত (গোশত/গোস্ত/গোসত) ফেলে দিয়ে সালাতে চলে গেলেন। যদি আগে খাবার খাওয়া ওয়াজিব হত তাহলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাবার পরিত্যাগ করে সালাত আদায়ের জন্য চলে যেতেন না।

অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, খাবার উপস্থিত করা জামা‘আত পরিত্যাগ করার জন্য একটি ওযর। কেননা ইবনু ‘উমার (রাঃ) সালাতের ইক্বামাত শুনার পরও খাবার পরিত্যাগ করে জামা‘আতে যোগদান করতেন না যতক্ষণ না তার খাবার খাওয়া শেষ করতেন।

এ হাদীস থেকে এটাও সাব্যস্ত হয় যে, খাবার উপস্থিত করা হলে এমতাবস্থায় সালাত আদায় করা মাকরূহ। ইমাম নাবাবী বলেনঃ এটা এমন সময়ের জন্য যখন সালাতের সময় প্রশস্ত থাকে অর্থাৎ প্রচুর সময় থাকে কিন্তু যদি সালাতের সময় সংকীর্ণ হয়ে যায় তা হলে আগে সালাত আদায় করতে হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)