লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাকবীরে তাহরীমার পর যা পড়তে হয়
এ অধ্যায়ে তাকবীরের পর সানা পড়ার বর্ণনা এসেছে। যাকে দু’আয়ে ইফতিতাহ্ বা ইস্তিফতাহ্ বলা হয়। তাকবীরের পর বলতে তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ- সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শুরুর তাকবীরকে বুঝানো হয়েছে।
৮১২-[১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরে তাহরীমার পর ক্বিরাআত (কিরআত) শুরু করার আগে কিছু সময় চুপ থাকতেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার প্রতি কুরবান হোন! আপনি তাকবীর ও ক্বিরাআতের মধ্যবর্তী সময় চুপ থাকেন তাতে কি বলেন? উত্তরে তিনি বললেন, আমি বলি, ’’হে আল্লাহ! আমি ও আমার গুনাহসমূহের মধ্যে দূরত্ব করে দাও, যেভাবে তুমি দূরত্ব সৃষ্টি করে দিয়েছো মাশরিক ও মাগরিবের (অর্থাৎ- পূর্ব ও পশ্চিমের) মধ্যে। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর গুনাহ হতে, যেভাবে পরিষ্কার করা হয় সাদা কাপড়কে ময়লা হতে। হে আল্লাহ! তুমি পানি, বরফ ও মুষলধারার বৃষ্টি দিয়ে আমার গুনাহসমূহকে ধুয়ে ফেল।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ مَا يُقْرَاُ بَعْدَ التَّكْبِيْرِ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يسكت بَين التَّكْبِير وَبَين الْقِرَاءَة إسكاتة قَالَ أَحْسبهُ قَالَ هنيَّة فَقلت بِأبي وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ إِسْكَاتُكَ بَيْنَ التَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَة مَا تَقُولُ قَالَ: «أَقُولُ اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ اللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ والثلج وَالْبرد»
ব্যাখ্যা: এটা তাকবীর ও ক্বিরাআতের মধ্যে দু‘আ পড়ার সুন্নাত প্রকাশ পায়। এক্ষেত্রে ‘‘সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা.....’’ পড়া সুন্নাত।
ইমাম মালিক ও আহমাদ এর প্রকাশ্য মাযহাবও অনুরূপ। ইমাম আবূ ইউসুফ (রহঃ)-এর মতে ‘‘ইন্নী ওজ্জাহতু.....’’ এ দু‘আ উভয়টি পড়া সুন্নাত। হানাফীরা দু‘আগুলো নফল ও তাহাজ্জুদ সালাতে সাব্যস্ত করে সুন্নাত বলেন। এ ধরনের মন্তব্য সঠিক নয়। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সানা পড়ার ক্ষেত্রে ফরয ও নফলের মধ্যে কোন পার্থক্য করেনি। তাই সব সালাতেই দু‘আ পড়া যাবে।