পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন
৮১১-[২২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের যুহরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করালেন। এক ব্যক্তি সর্বশেষ পিছনের সারিতে ছিল। সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) খারাপভাবে আদায় করছিল। সে সালাতের সালাম ফিরাবার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডাকলেন ও বললেন, হে অমুক! তুমি কি আল্লাহকে ভয় করছো না? তুমি কি জান না তুমি কিভাবে সালাত আদায় করছো? তোমরা মনে কর, তোমরা যা কর তা আমি দেখি না। আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি দেখি আমার পিছনের দিকে, যেভাবে আমি দেখি আমার সামনের দিকে। (আহমাদ)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظّهْر وَفِي مُؤخر الصُّفُوف رجل فَأَسَاءَ الصَّلَاةَ فَلَمَّا سَلَّمَ نَادَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا فُلَانُ أَلَا تَتَّقِي اللَّهَ؟ أَلَا تَرَى كَيْفَ تُصَلِّي؟ إِنَّكُمْ تُرَوْنَ أَنَّهُ يَخْفَى عَلَيَّ شَيْءٌ مِمَّا تَصْنَعُونَ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرَى مِنْ خَلْفِي كَمَا أَرَى من بَين يَدي» رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: মুল্লা ‘আলী ক্বারী (রহঃ) বলেন, এটা অন্তরের দেখা। হতে পারে ওয়াহী দিয়ে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জানছেন বা ইলহামের মাধ্যমে জানছেন। তবে সঠিক কথা হলো, নিশ্চয় তিনি নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করছেন। ‘আবদুল হক দেহলবী বলেনঃ সঠিক কথা হলো তিনি যেভাবে দেখার দাবী করেছেন, সেটাই এর প্রকৃত অর্থ হবে। চোখে দেখা মানে চোখের অনুভূতির মাধ্যমে প্রকৃত উপলব্ধি করা, এ বিষয়টা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্যে খাস। তার অলৌকিক ঘটনার অন্তর্ভুক্ত। ফলে সামনে না থাকলেও দেখতেন।
‘আল্লামা নাবাবী (রাঃ) বলেনঃ ‘আলিমগণ বলেছেন এর অর্থ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এর জন্যে তাঁর ঘাড়ের পশ্চাৎদিক এক উপলব্ধি যন্ত্র সৃষ্টি করলেন যার সাহায্যে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর পিছনের সবকিছু দেখতে পান। অবশ্য অনেক সময় এর থেকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনেক কিছু প্রকাশ পায়। যা অলৌকিক অভ্যাস বিরোধী। যা কোন আকল, বিবেক বাধা দিতে পারে না। কোন শারী‘আতও নিষেধ করতে পারে না বরং শারী‘আত বাহ্যিক প্রকাশ্য বিষয় নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। যার ফলে এর উপরই কথা আবশ্যকভাবে থাকবে। আহমাদ ইবনু হাম্বাল ও জমহূর ‘উলামাহ্ এ দেখাকে প্রকৃত চাক্ষুস দেখা মনে করছেন।