লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৭-[২০] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একজন ফাক্বীহ (’আলিমে দীন) শায়ত্বনের (শয়তানের) কাছে হাজার ’আবিদ (’ইবাদাতকারী) হতেও বেশী ভীতিকর। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ্)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِيْ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَقِيهٌ وَاحِدٌ أَشَدُّ عَلَى الشَّيْطَانِ مِنْ أَلْفِ عَابِدٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْن مَاجَه)
ব্যাখ্যা: মূল ভাষ্যতে উল্লিখিত فَقِيْهٌ শব্দ থেকে যদি ঐ ব্যক্তি উদ্দেশ্য হয় যাকে দীন ও দীনের মূল উৎসের ক্ষেত্রে বুঝ শক্তি দেয়া হয়েছে তাহলে উদ্দীষ্ট ব্যক্তি শায়ত্বনের (শয়তানের) চক্রান্ত ও তিরস্কার সম্বন্ধে জানে এবং বিপদ থেকে বাঁচার ‘ইলম এবং অন্তরসমূহের ষড়যন্ত্র ও কুমন্ত্রণার ব্যাপারে অনুভূতি শক্তি তাকে দান করা হয়েছে। আর যদি فَقِيْهٌ শব্দ দ্বারা দীনের হুকুম-আহকাম ও তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা সম্পর্কে অবগত ব্যক্তি উদ্দেশ্য হয় যেমন উদ্দেশ্য হওয়া সম্ভব তাহলে فَقِيْهٌ শব্দ দ্বারা পূর্বোক্ত ব্যাখ্যার মতো ব্যাখ্যা উদ্দেশ্য। কেননা সে এ ধরনের ‘ইলম দ্বারা হারাম স্থানসমূহ সম্পর্কে সতর্ক থাকে, ফলে সে হারাম স্থানগুলোকে হালকা ও বৈধ মনে করে না এবং সে কুফরের জটিলতায় পতিত হয় না, সে ঐ ‘ইবাদাতকারীর বিপরীত যে ‘ইবাদাতকারী উল্লিখিত দু’টি অর্থের স্তরে নয়।
হাদীসে একজন ফাক্বীহকে শায়ত্বনের (শয়তানের) কাছে হাজার মূর্খ ‘ইবাদাতকারী অপেক্ষা কঠিন বলা হয়েছে তার কারণ ফাক্বীহ ব্যক্তি শায়ত্বনের (শয়তানের) বক্রতাকে গ্রহণ করে না, মানুষকে কল্যাণকর কাজের নির্দেশ দেয় এবং তাদেরকে শায়ত্বনের (শয়তানের) বক্রতা থেকে রক্ষা করে, পক্ষান্তরে একজন ‘আবিদের (‘ইবাদাতকারী) চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে নিজেকে শায়ত্বনের (শয়তানের) চক্রান্ত থেকে রক্ষা করা অথচ সে এ ব্যাপারে সক্ষম না বরং শায়ত্বন (শয়তান) তাকে এমনভাবে গ্রাস করে যে সে বুঝতেই পারে না।