লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
২০৯-[১২] আবূ মাস্’ঊদ আল আনসারী (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমার সওয়ারী চলতে পারছে না, আপনি আমাকে একটি সওয়ারীর ব্যবস্থা করে দিন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এ সময় তো আমার নিকট তোমাকে দেবার মতো কোন সওয়ারী নেই। এক ব্যক্তি বলে উঠল, হে আল্লাহর রসূল! আমি তাকে এমন এক লোকের সন্ধান দিতে পারি, যে তাকে সওয়ারীর ব্যবস্থা করে দিতে পারে। এটা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি কাউকে কোন কল্যাণের দিকে পথপ্রদর্শন করে, সে উক্ত কার্য সম্পাদনকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে। (মুসলিম)[1]
الْفَصْلُ الْلأَوَّلُ
عَن أبي مَسْعُود الْأَنْصَارِيِّ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنِّي أُبْدِعَ بِي فَاحْمِلْنِي فَقَالَ مَا عِنْدِي فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا أَدُلُّهُ عَلَى مَنْ يَحْمِلُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مثل أجر فَاعله» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: যে ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে কথা, কাজ, ইশারা-ইঙ্গিত বা লিখনীর মাধ্যমে পুণ্যময় কোন কাজ বা ‘ইলমের দিক-নির্দেশনা দিবে তাহলে দিক-নির্দেশক নির্দেশনাপ্রাপ্ত ব্যক্তির মতো সাওয়াব লাভ করবে। এতে দিক-নির্দেশনাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সাওয়াবে ঘাটতি হবে না। ইমাম নাবাবী বলেন ‘‘দিক-নির্দেশক দিক-নির্দেশনাপ্রাপ্ত ব্যক্তির মতো সাওয়াব লাভ করবে’’ উক্তি হতে উদ্দেশ্য হলো দিক-নির্দেশনাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যেমন সাওয়াব লাভ করবে ঠিক তেমনি দিক-নির্দেশকও অনুরূপ সাওয়াব লাভ করবে, এতে উভয়ের সাওয়াব সমান হওয়া আবশ্যক নয়। ইমাম কুরতুবী বলেন- গুণে পরিমাণে উভয়ের সাওয়াব সমান, কেননা কাজের পর যে সাওয়াব দেয়া হয় তা আল্লাহর তরফ হতে অনুগ্রহ; আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তা দেন।