লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৪৭-[৮] রাফি’ ইবনু খদীজ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সময় মদীনায় (হিজরত করে) আসলেন, সে সময় মদীনার লোকেরা খেজুর গাছে তা’বীর করতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা এরূপ করছ কেন? মদীনাবাসী উত্তর দিল, আমরা বরাবরই এমনি করে আসছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, মনে হয় তোমরা এমন না করলেই ভালো হত। তাই মদীনাবাসীরা এ কাজ করা পরিত্যাগ করল। কিন্তু ফসল (এ বছর) কম হলো। বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কানে গেলে তিনি বললেন, ’নিশ্চয়ই আমি একজন মানুষ। তাই আমি যখন তোমাদেরকে দীন সম্পর্কে কোন বিষয়ে নির্দেশ দেই, তখন তোমরা অবশ্যই আমার কথা শুনবে। আর আমি যখন নিজের মতানুসারে দুনিয়ার বিষয় সম্পর্কে তোমাদেরকে কিছু বলব তখন মনে করবে, আমি একজন মানুষ (তাই দুনিয়ার ব্যাপারে আমারও ভুল হতে পারে)। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْإِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
وَعَن رَافع بن خديج قَالَ: قَدِمَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وهم يأبرون النَّخْلَ فَقَالَ: «مَا تَصْنَعُونَ» قَالُوا كُنَّا نَصْنَعُهُ قَالَ «لَعَلَّكُمْ لَوْ لَمْ تَفْعَلُوا كَانَ خَيْرًا» فَتَرَكُوهُ فنفضت قَالَ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: «إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ إِذَا أَمَرْتُكُمْ بِشَيْءٍ مِنْ دِينِكُمْ فَخُذُوا بِهِ وَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِشَيْءٍ مِنْ رَأْي فَإِنَّمَا أَنا بشر» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে লোকেরা খেজুর গাছে তা‘বীর করতো। অর্থাৎ- মাদী গাছের কেশরের সঙ্গে নর গাছের কেশরকে লাগিয়ে দিতো। এতে করে গাছের ফলন অনেক বেশি হতো। আর এ কাজটি তারা জাহিলী যুগের অভ্যাস অনুযায়ী করতো। বিষয়টি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জানা না থাকার কারণে বলেছিলেনঃ এ রকম না করলেই ভালো হতো। ত্বলহাহ্ (রাঃ) কর্তৃক মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমার ধারণা এই যে, এতে কোন উপকার দেবে না। এ কথা শুনে লোকেরা তা‘বীর করা বন্ধ করে দিলো, কিন্তু এতে যখন ফলন কমে গেল তখন বাগানের মালিকেরা এসে ফলন কমের কথা উল্লেখ করলে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমিও একজন মানুষ। গায়িবী ব্যাপারে আমার কোন কিছু জানা নেই। আমি যা বলেছি তা শুধু আমার ধারণা থেকে।
সুতরাং আমি যখন কোন বিষয়ে তোমাদেরকে নির্দেশ করবো যা দীনের ব্যাপারে তোমাদের উপকারী হবে তা তোমরা গ্রহণ করবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ ‘‘রসূল তোমাদের যা প্রদান করেন তাই তোমরা গ্রহণ করো’’- (সূরাহ্ আল হাশর ৫৯ঃ ৭)। আর দুনিয়াবী বিষয়ে যা নির্দেশ করবো তা সঠিক হতেও পারে, নাও হতে পারে। কারণ এ ব্যাপারে আমি ওয়াহী হতে বলি না। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) এবং আনাস (রাঃ) কর্তৃক মুসলিমের বর্ণনায় আছে যে, দুনিয়াবী বিষয়ে তোমরাই আমার চেয়ে বেশি জ্ঞান রাখো।