৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ ও মুনাফিক্বীর নিদর্শন

৫৯-[১১] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি বিষয় ঈমানের মূল ভিত্তি বা স্তম্ভ। (১) যে ব্যক্তি ’লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ স্বীকার করে নেয়, তার প্রতি আক্রমণ করা হতে বিরত থাকা; কোন গুনাহের দরুন তাকে কাফির বলে মনে করবে না এবং কোন ’আমলের কারণে তাকে ইসলাম হতে খারিজ মনে করবে না (যে পর্যন্ত না তার দ্বারা সুস্পষ্ট কোন কুফরী কাজ করা হয়)। (২) যেদিন হতে আল্লাহ আমাকে নবী করে পাঠিয়েছেন, সেদিন থেকে এ উম্মাতের শেষ দিকের লোকেরা দাজ্জালের সাথে জিহাদ করা পর্যন্ত (ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) অবধি) চলতে থাকবে। কোন অত্যাচারী শাসকের অবিচার অথবা কোন সুবিচারী বাদশার ইনসাফ এ জিহাদকে বাতিল করতে পারবে না এবং (৩) তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস। (আবূ দাঊদ)[1]

باب الكبائر وعلامات النفاق - الفصل الثاني

وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «ثَلَاث من أَصْلِ الْإِيمَانِ الْكَفُّ عَمَّنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا الله وَلَا نكفره بذنب وَلَا نخرجهُ من الْإِسْلَام بِعَمَل وَالْجِهَادُ مَاضٍ مُنْذُ بَعَثَنِي اللَّهُ إِلَى أَنْ يُقَاتل آخر أمتِي الدَّجَّالَ لَا يُبْطِلُهُ جَوْرُ جَائِرٍ وَلَا عَدْلُ عَادل وَالْإِيمَان بالأقدار» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

Chapter: Major Sins and the Signs of Hypocrisy - Section 2


Anas reported God’s messenger as saying, “Three matters pertain to the root of faith: no molestation of one who says there is no god but God, neither declaring him an infidel because of a sin, nor excommunicating him from Islam because of an action; jihad continues from the time God sent me till the last of this people fights with the dajjal, being annulled neither by the tyranny of a tyrannical ruler nor the justice of a just one; and belief in God’s decrees.” Abu Dawud transmitted it.

ব্যাখ্যা: তিনটি অভ্যাস ঈমানের মূলঃ

(১) যে ব্যক্তি সাক্ষ্য প্রদান করে যে, ‘‘আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রসূল’’ তার জান-মালের ক্ষতি করা হতে বিরত থাকা। কোন গুনাহের কারণে তাকে কাফের না বলা যেমনটি মু‘তাযিলাগণ বলে থাকে।

(২) এ বিশ্বাস রাখা যে, ‘ঈসা (আঃ) কর্তৃক দাজ্জাল নিহত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত জিহাদ অব্যাহত থাকবে। দাজ্জাল নিহত হওয়ার পর আর জিহাদ অবশিষ্ট থাকবে না। কেননা ইয়া’জূজ ও মা’জূজ-এর বিরুদ্ধে জিহাদ করার শক্তি। আর তাদের ধ্বংসের পর ‘ঈসা (আঃ)  জীবিত থাকা পর্যন্ত এমন কোন কাফির থাকবে না যে, যাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ওয়াজিব হবে। আর ‘ঈসা (আঃ) -এর পর যে সকল মুসলিম কাফির হয়ে যাবে তাদের বিরুদ্ধে এজন্য জিহাদ ওয়াজিব থাকবে না যে, তখন একটি বায়ু দ্বারা সকল মুসলিম মৃত্যুবরণ করবে। আর ঐ যামানা আসার পূর্বে কোন যালিমের যুলম বা ন্যায় বিচারকের ন্যায়বিচার জিহাদ বিলুপ্ত করবে না। এ হাদীসে ঐ সমস্ত মুনাফিক্বদের কথার জওয়াব রয়েছে যারা মনে করে ইসলামী রাষ্ট্র অল্প সময়ের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।