লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
২০-[১৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, আদম সন্তান আমাকে মিথ্যাবাদী বানাচ্ছে, অথচ এটা তাদের জন্য অনুচিত। সে আমায় মন্দ বলছে অথচ এটাও তাদের পক্ষে সমীচীন নয়। আমাকে মিথ্যা বলার অর্থ হল- তারা বলে, এমনভাবে আল্লাহ আমাকে (আখিরাতে) অবশ্যই সৃষ্টি করতে পারবেন না ঠিক যেভাবে আল্লাহ আমাকে প্রথম (এ দুনিয়ায়) সৃষ্টি করেছেন। অথচ আমার পক্ষে দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করা প্রথমবার সৃষ্টি করার তুলনায় অধিকতর সহজ নয় কি? আর আমার ব্যাপারে মন্দ বলার অর্থ হলো, তারা বলে, আল্লাহ নিজের পুত্র বানিয়েছেন, অথচ আমি একক ও অমুখাপেক্ষী। আমি কাউকে জন্ম দেইনি, আমাকেও কেউ জন্ম দেইনি, আর কেউ আমার সমকক্ষও নয়।[1]
الفصل الاول
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اللَّهُ كَذبَنِي ابْن آدم وَلم يكن لَهُ ذَلِك وَشَتَمَنِي وَلم يكن لَهُ ذَلِك أما تَكْذِيبه إيَّايَ أَن يَقُول إِنِّي لن أُعِيدهُ كَمَا بَدأته وَأما شَتمه إيَّايَ أَن يَقُول اتخذ الله ولدا وَأَنا الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ أَلِدْ وَلَمْ أُولَدْ وَلَمْ يكن لي كُفؤًا أحد (لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفؤًا أحد) كُفؤًا وكفيئا وكفاء وَاحِد
Chapter - Section 1
Abu Huraira reported that God’s messenger declared that God said, “The son of Adam has accused me of falsehood, which he had no right to do; and he has reviled me, which he had no right to do. His accusation of falsehood is in his saying, ‘He will not bring me back to life as He created me’, whereas the original act of creation is no easier for me than to bring him back to life. His reviling of me is in his saying, ‘God has taken a son’, whereas I am the One, to whom men repair, who has not begotten and has not been begotten, and to whom no one is equal.”
Bukhari transmitted it.
ব্যাখ্যা: এ জাতীয় হাদীসকে হাদীসে কুদসী বলা হয়। হাদীসে কুদসী ও কুরআনের মধ্যে পার্থক্য এই যে, হাদীসে কুদসীতে নাবীগণ ইলহাম, স্বপ্ন অথবা মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাগণের) ভাষার মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশ অবগত হন। অতঃপর ভাষায় তার মর্ম তার উম্মাতদেরকে অবহিত করেন।
সরাসরি আল্লাহর যে বাণী নিয়ে জিবরীল (আঃ) স্বয়ং অবতীর্ণ হন এবং তা আল্লাহর ভাষায়ই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পৌঁছিয়ে দেন। কুরআন মুতাওয়াতির, হাদীসে কুদসী তা নয়- হাদীসে এ কথার ইঙ্গিত রয়েছে। পুনরুত্থান বাস্তব এবং তা সম্ভব। কেননা সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও আকৃতির উপর শরীরের গঠন নির্ভরশীল তার অস্তিত্ব যদি অসম্ভব হত তাহলে শরীরের অস্তিত্ব পাওয়া যেত না অথচ শরীরের অস্তিত্ব বিদ্যমান। প্রথমবার যার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব হয়েছে দ্বিতীয়বার তার পক্ষে তা অসম্ভব নয়।
‘‘আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন’’ এটা তার জন্য গালি এজন্য যে, এতে তার ত্রুটি ব্যক্ত হয়েছে। কেননা সাধারণত সন্তানের জন্ম হয় তার মা থেকে। মা সন্তান গর্ভে ধারণ করে, এরপর প্রসব করে। এর জন্য আগে বিয়ের প্রয়োজন হয়। আর আল্লাহ তা‘আলা এসব কিছু থেকে পবিত্র।
‘‘আমার সমকক্ষ কেউ নেই’’ এর দ্বারা সকল প্রকার সমকক্ষতাকে অস্বীকার করা হয়েছে। পিতা না হওয়া স্ত্রী না থাকা এর অন্তর্ভুক্ত।