লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
৬/৩১। সুহাইব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমাদের পূর্ব যুগে একজন বাদশাহ ছিল এবং তাঁর (উপদেষ্টা) এক জাদুকর ছিল। জাদুকর বার্ধক্যে উপনীত হলে বাদশাহকে বলল যে, ’আমি বৃদ্ধ হয়ে গেলাম তাই আপনি আমার নিকট একটি বালক পাঠিয়ে দিন, যাতে আমি তাকে জাদু-বিদ্যা শিক্ষা দিতে পারি।’ ফলে বাদশাহ তার কাছে একটি বালক পাঠাতে আরম্ভ করল, যাকে সে জাদু শিক্ষা দিত। তার যাতায়াত পথে এক পাদ্রী বাস করত। যখনই বালকটি জাদুকরের কাছে যেত, তখনই পাদ্রীর নিকটে কিছুক্ষণের জন্য বসত, তাঁর কথা তাকে ভাল লাগত। ফলে সে যখনই জাদুকরের নিকট যেত, তখনই যাওয়ার সময় সে পাদ্রীর কাছে বসত। যখন সে পাদ্রীর কাছে আসত জাদুকর তাকে (তার বিলম্বের কারণে) মারত। ফলে সে পাদ্রীর নিকটে এর অভিযোগ করল। পাদ্রী বলল, ’যখন তোমার ভয় হবে যে, জাদুকর তোমাকে মারধর করবে, তখন তুমি বলবে, আমার বাড়ির লোক আমাকে (কোন কাজে) আটকে দিয়েছিল। আর যখন বাড়ির লোকে মারবে বলে আশঙ্কা হবে, তখন তুমি বলবে যে, জাদুকর আমাকে (কোন কাজে) আটকে দিয়েছিল।’
সুতরাং সে এভাবেই দিনপাত করতে থাকল। একদিন বালকটি তার চলার পথে একটি বিরাট (হিংস্র) জন্তু দেখতে পেল। ঐ (জন্তু)টি লোকের পথ অবরোধ করে রেখেছিল। বালকটি (মনে মনে) বলল, ’আজ আমি জানতে পারব যে, জাদুকর শ্রেষ্ঠ না পাদ্রী?’ অতঃপর সে একটি পাথর নিয়ে বলল, ’হে আল্লাহ! যদি পাদ্রীর বিষয়টি তোমার নিকটে জাদুকরের বিষয় থেকে পছন্দনীয় হয়, তাহলে তুমি এই পাথর দ্বারা এই জন্তুটিকে মেরে ফেল। যাতে (রাস্তা নিরাপদ হয়) এবং লোকেরা চলাফিরা করতে পারে।’ (এই দো’আ করে) সে জন্তুটাকে পাথর ছুঁড়ল এবং তাকে হত্যা করে দিল। এর পর লোকেরা চলাফিরা করতে লাগল। বালকটি পাদ্রীর নিকটে এসে ঘটনাটি বর্ণনা করল। পাদ্রী তাকে বলল, ’বৎস! তুমি আজ আমার চেয়ে উত্তম। তোমার (ঈমান ও একীনের) ব্যাপার দেখে আমি অনুভব করছি যে, শীঘ্রই তোমাকে পরীক্ষায় ফেলা হবে। সুতরাং যখন তুমি পরীক্ষার সম্মুখীন হবে, তখন তুমি আমার রহস্য প্রকাশ করে দিও না।’
আর বালকটি (আল্লাহর ইচ্ছায়) জন্মান্ধত্ব ও কুষ্ঠরোগ ভাল করত এবং অন্যান্য সমস্ত রোগের চিকিৎসা করত। (এমতাবস্থায়) বাদশাহর জনৈক নিকটী অন্ধ হয়ে গেল। যখন সে বালকটির কথা শুনল, তখন প্রচুর উপঢৌকন নিয়ে তার কাছে এল এবং তাকে বলল যে, ’তুমি যদি আমাকে ভাল করতে পার, তাহলে এ সমস্ত উপঢৌকন তোমার।’ সে বলল, ’আমি তো কাউকে আরোগ্য দিতে পারি না, আল্লাহ তা’আলাই আরোগ্য দান করে থাকেন। যদি তুমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন কর, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দো’আ করব, ফলে তিনি তোমাকে অন্ধত্বমুক্ত করবেন।’ সুতরাং সে তার প্রতি ঈমান আনল। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাকে আরোগ্য দান করলেন। তারপর সে পূর্বেকার অভ্যাস অনুযায়ী বাদশাহর কাছে গিয়ে বসল। বাদশাহ তাকে বলল, ’কে তোমাকে চোখ ফিরিয়ে দিল?’ সে বলল, ’আমার প্রভু!’ সে বলল, ’আমি ব্যতীত তোমার অন্য কেউ প্রভু আছে?’ সে বলল, ’আমার প্রভু ও আপনার প্রভু হচ্ছেন আল্লাহ।’ বাদশাহ তাকে গ্রেপ্তার করল এবং তাকে ততক্ষণ পর্যন্ত শাস্তি দিতে থাকল, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ঐ (চিকিৎসক) বালকের কথা বলে দিল। অতএব তাকে (বাদশার নিকটে) নিয়ে আসা হল। বাদশাহ তাকে বলল, ’বৎস! তোমার কৃতিত্ব ঐ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে যে, তুমি জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে আরোগ্য দান করছ এবং আরো অনেক কিছু করছ।’ বালকটি বলল, ’আমি কাউকে আরোগ্য দান করি না, আরোগ্য দানকারী হচ্ছেন একমাত্র মহান আল্লাহ।’ বাদশাহ তাকেও গ্রেপ্তার করে ততক্ষণ পর্যন্ত শাস্তি দিতে থাকল, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ঐ পাদ্রীর কথা বলে দিল।
অতঃপর পাদ্রীকেও (তার কাছে) নিয়ে আসা হল। পাদ্রীকে বলা হল যে, ’তুমি নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যাও।’ কিন্তু সে অস্বীকার করল। ফলে তার মাথার সিঁথিতে করাত রাখা হল। করাতটি তাকে (চিরে) দ্বিখন্ডিত করে দিল; এমনকি তার দুই ধার (মাটিতে) পড়ে গেল। তারপর বাদশাহর নিকটীকে নিয়ে আসা হল এবং তাকে বলা হল যে, ’তোমার ধর্ম পরিত্যাগ কর।’ কিন্তু সেও (বাদশার কথা) প্রত্যাখান করল। ফলে তার মাথার সিঁথিতে করাত রাখা হল। তা দিয়ে তাকে (চিরে) দ্বিখন্ডিত করে দিল; এমনকি তার দুই ধার (মাটিতে) পড়ে গেল। তারপর বালকটিকে নিয়ে আসা হল। অতঃপর তাকে বলা হল যে, ’তুমি ধর্ম থেকে ফিরে এস।’ কিন্তু সেও অসম্মতি জানাল। সুতরাং বাদশাহ তাকে তার কিছু বিশেষ লোকের হাতে সঁপে দিয়ে বলল যে, ’একে অমুক পাহাড়ে নিয়ে যাও, তার উপরে তাকে আরোহণ করাও। অতঃপর যখন তোমরা তার চূড়ায় পৌঁছবে (তখন তাকে ধর্ম-ত্যাগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর) যদি সে নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যায়, তাহলে ভাল। নচেৎ তাকে ওখান থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দাও।’ সুতরাং তারা তাকে নিয়ে গিয়ে পাহাড়ের উপর আরোহণ করল। বালকটি আল্লাহর কাছে দো’আ করল, ’হে আল্লাহ! তুমি আমার জন্য তাদের মুকাবেলায় যে ভাবেই চাও যথেষ্ট হয়ে যাও।’ সুতরাং পাহাড় কেঁপে উঠল এবং তারা সকলেই নীচে পড়ে গেল।
বালকটি হেঁটে বাদশার কাছে উপস্থিত হল। বাদশাহ তাকে জিজ্ঞাসা করল, ’তোমার সঙ্গীদের কি হল?’ বালকটি বলল, ’আল্লাহ তা’আলা তাদের মোকাবেলায় আমার জন্য যথেষ্ট হয়েছেন।’
বাদশাহ আবার তাকে তার কিছু বিশেষ লোকের হাতে সঁপে দিয়ে বলল যে, ’একে নিয়ে তোমরা নৌকায় চড় এবং সমুদ্রের মধ্যস্থলে গিয়ে তাকে ধর্মের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর! যদি সে স্বধর্ম থেকে ফিরে আসে, তাহলে ঠিক আছে। নচেৎ তাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ কর।’ সুতরাং তারা তাকে নিয়ে গেল। অতঃপর বালকটি (নৌকায় চড়ে) দো’আ করল, ’হে আল্লাহ! তুমি এদের মোকাবেলায় যেভাবে চাও আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাও।’ সুতরাং নৌকা উল্টে গেল এবং তারা সকলেই পানিতে ডুবে গেল।
তারপর বালকটি হেঁটে বাদশাহর কাছে এল। বাদশাহ বলল, ’তোমার সঙ্গীদের কী হল?’ বালকটি বলল, ’আল্লাহ তা’আলা তাদের মোকাবেলায় আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে গেছেন।’ পুনরায় বালকটি বাদশাহকে বলল যে, ’আপনি আমাকে সে পর্যন্ত হত্যা করতে পারবেন না, যে পর্যন্ত না আপনি আমার নির্দেশিত পদ্ধতি অবলম্বন করবেন।’ বাদশাহ বলল, ’তা কী?’ সে বলল, ’আপনি একটি মাঠে লোকজন একত্রিত করুন এবং গাছের গুড়িতে আমাকে ঝুলিয়ে দিন। অতঃপর আমার তূণ থেকে একটি তীর নিয়ে তা ধনুকের মাঝে রাখুন, তারপর বলুন, ’’বিসমিল্লাহি রাব্বিল গুলাম!’’ (অর্থাৎ এই বালকের প্রতিপালক আল্লাহর নামে মারছি।) অতঃপর আমাকে তীর মারুন। এভাবে করলে আপনি আমাকে হত্যা করতে সফল হবেন।’
সুতরাং (বালকটির নির্দেশানুযায়ী) বাদশাহ একটি মাঠে লোকজন একত্রিত করল এবং গাছের গুঁড়িতে তাকে ঝুলিয়ে দিল। অতঃপর তার তূণ থেকে একটি তীর নিয়ে তা ধনুকের মাঝে রেখে বলল, ’বিসমিল্লাহি রাব্বিল গুলাম!’ (অর্থাৎ এই বালকের প্রতিপালক আল্লাহর নামে মারছি।) অতঃপর তাকে তীর মারল। তীরটি তার কান ও মাথার মধ্যবর্তী স্থানে (কানমুতোয়) লাগল। বালকটি তার কানমুতোয় হাত রেখে মারা গেল। অতঃপর লোকেরা (বালকটির অলোকিকতা দেখে) বলল যে, ’আমরা এ বালকটির প্রভুর উপর ঈমান আনলাম।’ বাদশার কাছে এসে বলা হল যে, ’আপনি যার ভয় করছিলেন তাই ঘটে গেছে, লোকেরা (আল্লাহর প্রতি) ঈমান এনেছে।’ সুতরাং সে পথের দুয়ারে গর্ত খুঁড়ার আদেশ দিল। ফলে তা খুঁড়া হল এবং তাতে আগুন জ্বালানো হল। বাদশাহ আদেশ করল যে, ’যে দ্বীন থেকে না ফিরবে তাকে এই আগুনে নিক্ষেপ কর’ অথবা তাকে বলা হল যে, ’তুমি আগুনে প্রবেশ কর।’ তারা তাই করল। শেষ পর্যন্ত একটি স্ত্রীলোক এল। তার সঙ্গে তার একটি শিশু ছিল। সে তাতে পতিত হতে কুণ্ঠিত হলে তার বালকটি বলল, ’আম্মা! তুমি সবর কর। কেননা, তুমি সত্যের উপরে আছ।’’[1]
(3) - باب الصبر
وَعَنْ صُهَيْبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قَالَ : » آَانَ مَلِكٌ فيِمَنْ آَانَ قبْلَكُم،ْ وَآَانَ لَهُسَاحِرٌ ، فَلَمَّا آَبِرَ قَالَ لِلْمَلِك : إِنِّي قَدْ آَبِرْتُ فَابعَثْ إِلَيَّ غُلاَماً أُعَلِّمْهُ السِّحْرَ ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ غُلاَماً يعَلِّمُهُ ، وَآَانَفي طَريقِهِ إِذَا سَلَكَ رَاهِب،ٌ فَقَعَدَ إِلَيْهِ وَسَمِعَ آَلاَمهُ فأَعْجَبهُ ، وَآَانَ إِذَا أَتَى السَّاحِرَ مَرَّ بالرَّاهِب وَقَعَدَ إِلَيْه ،فَإِذَا أَتَى السَّاحِرَ ضَرَبَهُ ، فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى الرَّاهِبِ فقال : إِذَا خَشِيتَ السَّاحِر فَقُلْ : حبَسَنِي أَهْلي ، وَإِذَا خَشِيتَأَهْلَكَ فَقُلْ: حَبَسَنِي السَّاحرُ .فَبيْنَمَا هُو عَلَى ذَلِكَ إذْ أتَى عَلَى دابَّةٍ عظِيمَة قدْ حَبَسَت النَّاس فقال : اليوْمَ أعْلَمُ السَّاحِرُ أفْضَل أم الرَّاهبُأفْضلَ ؟ فأخَذَ حجَراً فقالَ : اللهُمَّ إنْ آان أمْرُ الرَّاهب أحَبَّ إلَيْكَ مِنْ أَمْرِ السَّاحِرِ فاقتُلْ هَذِهِ الدَّابَّة حتَّى يمْضِيَالنَّاسُ ، فرَماها فقتَلَها ومَضى النَّاس،ُ فأتَى الرَّاهب فأخبَرهُ . فقال لهُ الرَّاهبُ : أىْ بُنيَّ أَنْتَ اليوْمَ أفْضلُ منِّي، قدْ بلَغَ مِنْ أمْركَ مَا أَرَى ، وإِنَّكَ ستُبْتَلَى ، فإنِ ابْتُليتَ فَلاَ تدُلَّ عليَّ ، وآانَ الغُلامُ يبْرئُ الأآْمةَ والأبرصَ ،ويدَاوي النَّاس مِنْ سائِرِ الأدوَاءِ . فَسَمعَ جلِيسٌ للملِكِ آانَ قدْ عمِى،َ فأتَاهُ بهداياَ آثيرَةٍ فقال : ما ههُنَا لكأجْمَعُ إنْ أنْتَ شفَيْتني ، فقال إنِّي لا أشفِي أحَدا،ً إِنَّمَا يشْفِي االله تعَالى، فإنْ آمنْتَ بِاللَّهِ تعَالَى دعوْتُ االلهفشَفاكَ ، فآمَنَ باللَّه تعَالى فشفَاهُ اللَّهُ تَعَالَى ، فأتَى المَلِكَ فجَلَس إليْهِ آما آانَ يجْلِسُ فقالَ لَهُ المَلكُ : منْ ردَّعلَيْك بصَرك؟ قال : ربِّي . قَالَ: ولكَ ربٌّ غيْرِي ؟، قَالَ : رَبِّي وربُّكَ االله ، فأَخَذَهُ فلَمْ يزلْ يُعذِّبُهُ حتَّى دلَّ عَلَىالغُلاَمِ فجئَ بِالغُلاَمِ ، فقال لهُ المَلكُ : أىْ بُنَيَّ قدْ بَلَغَ منْ سِحْرِك مَا تبْرئُ الأآمَهَ والأبرَصَ وتَفْعلُ وَتفْعَلُ فقالَ: إِنَّي لا أشْفي أَحَداً ، إنَّما يشْفي االله تَعَالَى، فأخَذَهُ فَلَمْ يزَلْ يعذِّبُهُ حتَّى دلَّ عَلَى الرَّاهبِ ، فجِئ بالرَّاهِبِ فقيللَهُ : ارجَعْ عنْ دِينك،َ فأبَى ، فدَعا بالمنْشَار فوُضِع المنْشَارُ في مفْرقِ رأْسِه،ِ فشقَّهُ حتَّى وقَعَ شقَّاهُ ، ثُمَّ جِئبجَلِيسِ المَلكِ فقِلَ لَهُ : ارجِعْ عنْ دينِكَ فأبَى ، فوُضِعَ المنْشَارُ في مفْرِقِ رَأسِهِ ، فشقَّهُ به حتَّى وقَع شقَّاهُ ،ثُمَّ جئ بالغُلامِ فقِيل لَهُ : ارجِعْ عنْ دينِكَ ، فأبَى ، فدَفعَهُ إِلَى نَفَرٍ منْ أصْحابِهِ فقال : اذهبُوا بِهِ إِلَى جبَلِ آَذَاوآذَا فاصعدُوا بِهِ الجبلَ ، فـإذَا بلغتُمْ ذروتهُ فإنْ رجعَ عنْ دينِهِ وإِلاَّ فاطرَحوهُ فذهبُوا به فصعدُوا بهِ الجَبَلفقال : اللَّهُمَّ اآفنِيهمْ بمَا شئْت ، فرجَف بِهمُ الجَبَلُ فسَقطُوا ، وجَاءَ يمْشي إِلَى المَلِكِ ، فقالَ لَهُ المَلكُ : مافَعَلَ أَصحَابكَ ؟ فقالَ : آفانيهِمُ االله تعالَى ، فدفعَهُ إِلَى نَفَرَ منْ أصْحَابِهِ فقال : اذهبُوا بِهِ فاحملُوه في قُرقُوروَتَوسَّطُوا بِهِ البحْرَ ، فإنْ رَجَعَ عنْ دينِهِ وإلاَّ فَاقْذفُوهُ ، فذَهبُوا بِهِ فقال : اللَّهُمَّ اآفنِيهمْ بمَا شِئْت ، فانكَفَأَتْبِهِمُ السَّفينةُ فغرِقوا ، وجَاءَ يمْشِي إِلَى المَلِك . فقالَ لَهُ الملِكُ : ما فَعَلَ أَصحَابكَ ؟ فقال : آفانِيهمُ االله تعالَى .فقالَ للمَلِكِ إنَّك لسْتَ بقَاتِلِي حتَّى تفْعلَ ما آمُركَ بِهِ . قال : ما هُوَ ؟ قال : تجْمَعُ النَّاس في صَعيدٍ واحدٍ ،وتصلُبُني عَلَى جذْعٍ ، ثُمَّ خُذ سهْماً مِنْ آنَانتِي ، ثُمَّ ضعِ السَّهْمِ في آَبدِ القَوْسِ ثُمَّ قُل : بسْمِ اللَّهِ ربِّ الغُلاَمِ ثُمَّارمِنِي ، فإنَّكَ إذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ قَتَلْتنِي . فجَمَع النَّاس في صَعيدٍ واحِدٍ ، وصلَبَهُ عَلَى جذْعٍ ، ثُمَّ أَخَذَ سهْماً منْآنَانَتِهِ ، ثُمَّ وضَعَ السَّهمَ في آبِدِ القَوْس،ِ ثُمَّ قَالَ : بِسْم اللَّهِ رَبِّ الغُلامِ ، ثُمَّ رمَاهُ فَوقَعَ السَّهمُ في صُدْغِهِ ،فَوضَعَ يدَهُ في صُدْغِهِ فمَاتَ . فقَالَ النَّاسُ : آمَنَّا بِرَبِّ الغُلاَمِ ، فَأُتِىَ المَلكُ فَقِيلُ لَهُ : أَرَأَيْت ما آُنْت تحْذَر قَدْوَاللَّه نَزَلَ بِك حَذرُكَ . قدْ آمنَ النَّاسُ . فأَمَرَ بِالأخدُودِ بأفْوَاهِ السِّكك فخُدَّتَ وَأضْرِمَ فِيها النيرانُ وقالَ : مَنْ لَمْيرْجَعْ عنْ دينِهِ فأقْحمُوهُ فِيهَا أوْ قيلَ لَهُ : اقْتَحمْ ، ففعَلُوا حتَّى جَاءتِ امرَأَةٌ ومعَهَا صَبِيٌّ لهَا ، فَتقَاعَسَت أنْتَقعَ فِيهَا ، فقال لَهَا الغُلاَمُ : يا أمَّاهْ اصبِرِي فَإِنَّكَ عَلَي الحَقِّ « روَاهُ مُسْلَمٌ .«ذرْوةُ الجَبلِ « : أعْلاهُ ، وَهي بكَسْر الذَّال المعْجمَة وضمها و » القُرْقورُ « بضَمِّ القَافَيْن : نوْعٌ منْ السُّفُنو » الصَّعِيدُ « هُنا : الأرضُ البارزَةُ و »الأخْدُودُ«: الشُّقوقُ في الأرْضِ آالنَّهْرِ الصَّغيرِ و » أُضرِمَ « أوقدَ »وانكفَأَت« أي : انقلبَتْ و » تقاعسَت « توقَّفتْ وجبُنتْ .
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Suhaib (May Allah be pleased with him) reported that the Messenger of Allah (ﷺ) said, "There lived a king before you and he had a court magician. As he (the magician) grew old, he said to the king:
'I have grown old, so send me a young boy in order to teach him magic.' The king sent him a young boy to serve the purpose. And on his way (to the magician) the young boy met a monk to whom he listened to and liked it. It became his habit that on his way to the magician, he would meet the monk and sit there and would come to the magician (late). The magician used to beat him because of this delay. He complained about this to the monk who said to him: 'When you feel afraid of the magician, say: Members of my family detained me. And when you fear your family, say: The magician detained me.' It so happened that there came a huge beast and it blocked the way of the people, and the young boy said: 'I will know today whether the magician or the monk is better.' He picked up a stone and said: 'O Allah, if the way of the monk is dearer to You than the way of the magician, bring about death to the animal so that the people be able to move about freely.' He threw that stone at it and killed it and the people began to move about freely. He then came to the monk and told him the story. The monk said: 'Son, today you are superior to me. You have come to a stage where I feel that you would be soon put to a trial, and in case you are put to a trial, do not reveal me.' That young boy began to heal those born blind and the lepers and he, in fact, began to cure people from all kinds of illnesses. When a courtier of the king who had gone blind heard about him, he came to him with numerous gifts and said, 'If you cure me, all these things will be yours.' He said, 'I myself do not cure anyone. It is Allah, the Exalted, Alone Who cures; and if you affirm faith in Allah, I shall also supplicate to Allah to cure you.' This courtier affirmed his faith in Allah and Allah cured him. He came to the king and sat by his side as he used to sit before. The king said to him, 'Who restored your eyesight?' He said, 'My Rubb.' Thereupon he said, 'Do you have another lord besides me?' He said, 'My Rubb and your Rubb is Allah.' So the king kept torturing him untill he revealed the young boy. The young boy was thus summoned and the king said to him, 'O boy, it has been conveyed to me that you have become so much proficient in your magic that you cure the blind and the lepers and you do such and such.' Thereupon he said, 'I do not cure anyone; it is Allah Alone Who cures,' and the king took hold of him and began to torture him until he revealed of the monk. The monk was summoned and it was said to him: 'You should turn back from your religion.' But he refused. The king sent for a saw, placed it in the middle of his head and cut him into two parts that fell down. Then the courtier of the king was brought forward and it was said to him: 'Turn back from your religion.' He, too, refused, and the saw was placed in the midst of his head and he was torn into two parts. Then the boy was sent for and it was said to him: 'Turn back from your religion.' He refused. The king then handed him over to a group of his courtiers, and said to them: 'Take him to such and such mountain; make him climb up that mountain and when you reach its peak ask him to renounce his Faith. If he refuses to do so, push him to his death.' So they took him and made him climb up the mountain and he said: 'O Allah, save me from them in any way you like,' and the mountain began to shake and they all fell down (dead) and that young boy came walking to the king. The king said to him, 'What happened to your companions?' He said, 'Allah has saved me from them.' He again handed him to some of his courtiers and said: 'Take him and carry him in a boat and when you reach the middle of the sea, ask him to renounce his religion. If he does not renounce his religion throw him (into the water).' So they took him and he said: 'O Allah, save me from them.' The boat turned upside down and they all drowned except the young boy who came walking to the king. The king said to him, 'What happened to your companions?' He said, 'Allah has saved me from them,' and he said to the king: 'You cannot kill me until you do what I command you to do.' The king asked, 'What is that?' He said, 'Gather all people in one place and tie me up to the trunk of a tree, then take an arrow from my quiver and say: With the Name of Allah, the Rubb of the boy; then shoot me. If you do that you will be able to kill me.' 'The king called the people in an open field and tied the young boy to the trunk of a tree. He took out an arrow from his quiver, fixed in the bow and said, 'With the Name of Allah, the Rubb of the young boy,' he then shot the arrow and it hit the boy's temple. The young boy placed his hand upon the temple where the arrow had hit him and died. The people then said: 'We believe in the Rubb of this young boy.' The king was told: 'Do you see what you were afraid of, by Allah it has taken place; all people have believed.' The king then commanded that trenches be dug and fire lit in them, and said: 'He who would not turn back from his (the young boy's) religion, throw him in the fire' or 'he would be ordered to jump into it.' They did so till a woman came with her child. She felt hesitant in jumping into the fire. The child said to her: 'O mother! Endure (this ordeal) for you are on the Right Path".
[Muslim].
Commentary:
1. The most important lesson of this Hadith is that whatever difficulties one has to face on the path of Deen, he should endure it with patience and determination; and if interest of the Deen requires, one should sacrifice his life for it.
2. The wonders displayed by righteous people are true. When Allah's Will and Wisdom requires, He manifests these wonders through His slaves.
3. It is a proof of the truth of the Qur'an that it has retold the great historical event like Ashab-ul-Ukhdud which, buried in the dust of ages, had long been forgotten.
4. It is not possible to explain and interpret the Qur'an without the help of Ahadith. The event of Ashsb-ul-Ukhdud mentioned in the Qur'an is an instance in point. It is the Hadith that has brought into light the details of the event and clarified its ambiguity.
5. Such incidents are a source of strength for the faith of true believers.