পরিচ্ছেদঃ আমরা যা উল্লেখ করলাম তার বিশুদ্ধতা প্রমাণে দ্বিতীয় হাদীস
১৮৫৬. জাবির বিন সামুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি উমার বিন খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর নিকট বসে ছিলাম, এমন সময় সা‘দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কুফা থেকে কিছু লোক আসলো। এমনকি তারা বললো, “নিশ্চয়ই সা‘দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ভালভাবে সালাত আদায় করেন না।” তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি যতদূর জানি সা‘দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উত্তমভাবে সালাত আদায় করেন।” তারপর তিনি সা‘দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ডেকে পাঠান এবং তাকে এই ব্যাপারে অবহিত করেন। জবাবে তিনি বলেন, “আমি তো তাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাত পড়াতাম। আমি প্রথম দুই রাকা‘আতে কিরা‘আত দীর্ঘ করতাম আর শেষ দুই রাকা‘আতে কিরা‘আত হালকা করতাম।” উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “হে আবূ ইসহাক, আপনার ব্যাপারে আমার ধারণাও তো এমনই।” অতঃপর উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার সাথে কুফায় কিছু লোক পাঠালেন তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য। তাকে নিয়ে কুফার মাসজিদে নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানকার লোকজন তার ব্যাপারে ভাল ছাড়া কোন মন্দ কথা বললো না। এভাবে তিনি মাসজিদু বানী আবসে গেলেন। সেখানে আবূ সা‘দাহ নামক এক ব্যক্তি আছে, সে বললো, “হে আল্লাহ, তুমি সাক্ষ্যি, নিশ্চয়ই তিনি যুদ্ধাভিযানে যান না, মাল সমানভাবে বন্টন করেন না এবং বিচার ফায়সালায় ন্যায়পরায়নতা অবলম্বন করেন না!”
রাবী বলেন, “এসব শুনে সা‘দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রেগে গেলেন এবং বললেন, “হে আল্লাহ, যদি সে মিথ্যাবাদী হয়ে থাকে, তবে তার আয়ূ বাড়িয়ে দিন, তার দরিদ্রতা প্রকট করে দিন এবং তাকে ফিতনায় নিপতিত করুন।”
রাবী বলেন, “ইবনু উমাইর বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ঐ ব্যক্তিকে পরবর্তীতে দেখেছেন যে, তার দুই ভ্রু দুই চোখের উপর এসে পড়েছে, সে নিতান্ত দরিদ্র হয়ে গেছে এবং সে ফিতনায় নিপতিত হয়েছে। তার কোন কিছুই ছিল না। তাকে জিজ্ঞেস করা হতো, হে আবূ সা‘দাহ, আপনি কেমন আছেন?” জবাবে সে বলতো, “আমি তো এক ফিতনাগ্রস্থ অতিশয় বৃদ্ধ, আমার ব্যাপারে সা‘দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বদ-দু‘আ কবূল হয়েছে!”[1]
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحُ بِصِحَّةِ مَا ذَكَرْنَاهُ
1856 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ: عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: كُنْتُ قَاعِدًا عِنْدَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ إِذْ جَاءَهُ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ يَشْكُونَ سَعْدًا حَتَّى قَالُوا لَهُ: إِنَّهُ لَا يُحْسِنُ الصَّلَاةَ فَقَالَ: عَهْدِي بِهِ وَهُوَ حَسَنُ الصَّلَاةِ فَدَعَاهُ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: أَمَّا صَلَاةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ صَلَّيْتُ بِهِمْ أَرْكُدُ فِي الْأُولَيَيْنِ وَأَحْذِفُ فِي الْأُخْرَيَيْنِ فَقَالَ: ذَاكَ الظَّنُّ بِكَ أَبَا إِسْحَاقَ فَبَعَثَ مَعَهُ مَنْ يَسْأَلُ عَنْهُ بِالْكُوفَةِ فَطِيفَ بِهِ فِي مَسَاجِدِ الْكُوفَةِ فَلَمْ يُقَلْ لَهُ إِلَّا خَيْرًا حَتَّى انْتَهَى إِلَى مَسْجِدِ بَنِي عَبْسٍ فَإِذَا رَجُلٌ يُدْعَى أَبَا سَعْدَةَ فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّهُ كَانَ لَا يَنْفِرُ فِي السَّرِيَّةِ وَلَا يَقْسِمُ بِالسَّوِيَّةِ وَلَا يَعْدِلُ فِي الْقَضِيَّةِ قَالَ: فَغَضِبَ سَعْدٌ وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ كَاذِبًا فَأَطِلْ عُمْرَهُ وشدِّد فَقْرَهُ وَاعْرِضْ عَلَيْهِ الْفِتَنَ قَالَ: فَزَعَمَ ابْنُ عُمَيْرٍ أَنَّهُ رَآهُ قَدْ سَقَطَ حَاجِبَاهُ عَلَى عَيْنَيْهِ قَدِ افْتَقَرَ وَافْتُتِنَ فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا يُسألُ كَيْفَ أَنْتَ أَبَا سَعْدَةَ؟ فَيَقُولُ: شَيْخٌ كبير مفتون أُجيبت في دعوة سعد. الراوي : جَابِر بْن سَمُرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1856 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (765)