পরিচ্ছেদঃ মানুষের চুল পবিত্র, চুল পানিতে পড়লে পানি নাপাক হয়ে যায় না আর যদি চুল কাপড়ের মাঝে থাকে, তবে তাতে সালাত আদায় করাতে কোন বাধা নেই
১৩৬৮. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরবানীর দিন জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেন, তারপর তিনি উট জবাই করার নির্দেশ দেন ফলে উট জবাই করা হয়, -এসময় মুন্ডনকারী তাঁর কাছে বসে ছিলেন- অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর হাত দিয়ে চুল সমান করেন, তারপর তিনি মাথার ডান দিকের চুল ধরেন এবং মুন্ডনকারীকে বলেন, “মাথা মুন্ডন করো।” তারপর তিনি মাথা মুন্ডন করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেদিনের চুলগুলোকে উপস্থিত সাহাবীদের মাঝে –একটি, দুটি করে চুল- বন্টন করে দেন। তারপর তিনি মাথার বাম দিকের চুল ধরেন এবং মুন্ডনকারীকে বলেন, “মাথা মুন্ডন করো।” তারপর তিনি মাথা মুন্ডন করেন। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবূ তালহা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ডেকে চুলগুলো তাকে দিয়ে দেন।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক তাঁর চুলগুলো সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে দেওয়ার মাঝে সুস্পষ্ট দলীল রয়েছে যে, মানুষের চুল পবিত্র। কেননা সাহাবীগণ তাঁর চুল গ্রহণ করেছেন তার মাধ্যমে বরকত লাভের জন্য; কেউ সেগুলো কোমরে রেখে দিয়েছেন, কেউ কোমরবন্দে রেখেছেন, কেউ পকেটে রেখেছেন, তা নিয়ে সালাত আদায় করেছেন, তারা সেগুলো কাছে রেখে তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন দিকে ছুটাছুটি করেছেন। এমনকি তাদের অনেকেই অসিয়ত করেছিলেন যেন সেই চুলগুলো তাদের কাফনের সাথে দিয়ে দেওয়া হয়! যদি চুল নাপাক হতো, তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চুল সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে দিতেন না, অথচ তিনি জানেন যে, সাহাবীগণ এর মাধ্যমে সেভাবে বরকত হাসিল করবেন, যেমনটা আমরা বর্ণনা করলাম। সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে যেমন এটি শুদ্ধ, তেমনি সেটা উম্মতের ক্ষেত্রেও তা শুদ্ধ। কেননা এটা হওয়া সম্ভব নয় যে, কোন জিনিস রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ক্ষেত্রে পবিত্র আর তা উম্মতের ক্ষেত্রে নাপাক!”
ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى أَنَّ شَعْرَ الْإِنْسَانِ طَاهِرٌ إِذَا وَقَعَ فِي الْمَاءِ لَمْ يُنَجِّسْهُ وَإِنْ كَانَ عَلَى الثَّوْبِ لَمْ يَمْنَعِ الصَّلَاةَ فيه
1368 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْمٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ الْفَزَارِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ: عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: رَمَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجَمْرَةَ يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ أَمَرَ بالبُدْنِ فنُحرت - وَالْحَلَّاقُ جَالِسٌ عِنْدَهُ - فَسَوَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ شَعْرَهُ بِيَدِهِ ثُمَّ قَبَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى شَقِّ جَانِبِهِ الْأَيْمَنِ عَلَى شَعْرِهِ ثُمَّ قَالَ لِلْحَلَّاقِ: (احْلِقْ) فَحَلَقَ فَقَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَعْرَهُ يَوْمَئِذٍ بَيْنَ مَنْ حَضَرَهُ مِنَ النَّاسِ - الشَّعَرَةَ وَالشَّعَرَتَيْنِ - ثُمَّ قَبَضَ بِيَدِهِ عَلَى جَانِبِ شِقِّهِ الْأَيْسَرِ عَلَى شَعْرِهِ ثُمَّ قَالَ لِلْحَلَّاقِ: (احْلِقْ) فَحَلَقَ فَدَعَا أبا طلحة الأنصاري فدفعه إليه. الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1368 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: فِي قِسْمَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَعْرَهُ بَيْنَ أَصْحَابِهِ أَبْيَنُ الْبَيَانِ بِأَنَّ شَعْرَ الْإِنْسَانِ طَاهِرٌ إِذِ الصَّحَابَةُ إِنَّمَا أَخَذُوا شَعْرَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ليتبرَّكوا بِهِ فَبَيْنَ شَادٍ فِي حُجزته وَمُمْسِكٍ فِي تِكَّتِهِ وَآخِذٍ فِي جَيْبِهِ يُصَلُّونَ فِيهَا وَيَسْعَوْنَ لِحَوَائِجِهِمْ وَهِيَ مَعَهُمْ وَحَتَّى إِنَّ عَامَّةً مِنْهُمْ أَوْصَوْا أَنْ تُجْعَلَ تِلْكَ الشَّعَرَةُ فِي أَكْفَانِهِمْ وَلَوْ كَانَ نَجِسًا لَمْ يَقْسِمْ عَلَيْهِمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الشَّيْءَ النَّجِسَ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُمْ يَتَبَرَّكُونَ بِهِ عَلَى حَسَبِ مَا وَصَفْنَا فَلَمَّا صَحَّ ذَلِكَ مِنَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَحَّ ذَلِكَ مِنْ أُمَّتِهِ إِذْ مُحَالٌ أَنْ يَكُونَ منه شيء طاهر ومتن أُمَّتِهِ ذَلِكَ الشَّيْءُ بِعَيْنِهِ نَجِسًا.