পরিচ্ছেদঃ আমাদের উল্লেখিত হাদীসটিকে যেই দুটি বিশেষণে বিশেষিত হবে
১২৪৬. আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হয় ঐ পানি সম্পর্কে যাতে চতুষ্পদ প্রাণী ও হিংস্র প্রাণী অবতরণ করে, জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যখন পানি দুই কুল্লাহ বা ২০৪ লিটার পরিমাণ হবে, তখন তাকে কোন কিছুই নাপাক করতে পারবে না।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্য “তাকে কোন কিছুই নাপাক করতে পারবে না” বাক্যটি ব্যাপক অর্থবোধক, যা কিছু অবস্থায় প্রযোজ্য; আর সেটি হলো যখন পানি এমন বেশি পরিমাণে হবে, যাতে নাপাককে বহন করে না (অর্থাৎ নাপাকের কারণে পানির পবিত্রতায় কোন প্রভাব ফেলে না) ফলে পানি পাক থেকে যায়। হাদীসের এই ব্যাপক অর্থকে বিশেষিত করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই বক্তব্য “যখন পানি দুই কুল্লাহ বা ২০৪ লিটার পরিমাণ হবে”।
উপরোক্ত দুই হাদীসটিকে আবার বিশেষিত করবে এই ইজমা “পানি কম হোক অথবা বেশি হোক, যদি তাতে নাপাক পতিত হওয়ার কারণে পানির রং, স্বাদ বা গন্ধ পরিবর্তিত হয়, তবে সেই পানি নাপাক হিসেবে গণ্য হবে”। কাজেই এই ইজমা পূর্বে উল্লেখিত ব্যাপক অর্থবোধক হাদীসকে বিশেষিত করবে।”
ذِكْرُ أَحَدِ التَّخْصِيصَيْنِ اللَّذَيْنِ يخُصَّان عُمُومَ الْخَبَرِ الذي ذكرناه
1246 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَهُمْ: أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنِ الْمَاءِ وَمَا يَنُوبُهُ مِنَ الدَّوَابِّ وَالسِّبَاعِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِذَا كَانَ الْمَاءُ قُلَّتَيْنِ لم يُنَجِّسْهُ شيء) الراوي : ابْن عُمَرَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1246 | خلاصة حكم المحدث: صحيح. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (الْمَاءُ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ) لَفْظَةٌ أُطْلِقَتْ عَلَى الْعُمُومِ تُسْتَعْمَلُ فِي بَعْضِ الْأَحْوَالِ وَهُوَ الْمِيَاهُ الْكَثِيرَةُ الَّتِي لَا تَحْتَمِلُ النَّجَاسَةَ فَتَطْهُرُ فِيهَا وَتَخُصُّ هَذِهِ اللَّفْظَةَ الَّتِي أُطْلِقَتْ عَلَى الْعُمُومِ وُرُودُ سُنَّةٍ وَهُوَ قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِذَا كَانَ الْمَاءُ قُلَّتَيْنِ لَمْ يُنَجِّسْهُ شَيْءٌ) وَيَخُصَّ هَذَيْنِ الْخَبَرَيْنِ الْإِجْمَاعُ عَلَى أَنَّ الْمَاءَ قَلِيلًا كَانَ أَوْ كَثِيرًا فغيَّر طَعْمَهُ أَوْ لَوْنَهُ أَوْ رِيحَهُ نَجَاسَةٌ وَقَعَتْ فِيهِ أَنَّ ذَلِكَ الْمَاءَ نجسٌ بِهَذَا الْإِجْمَاعِ الَّذِي يَخُصُّ عُمُومَ تِلْكَ اللَّفْظَةِ الْمُطْلَقَةِ الَّتِي ذكرناها.