পরিচ্ছেদঃ ইসলামের প্রথম যুগে স্ত্রী মিলনের পর বীর্যপাত না হলে, গোসল ছাড়া যা করা জরুরী ছিল
১১৬৯. যাইদ বিন খালিদ আল জুহানী থেকে বর্ণিত, তিনি উসমান বিন আফ্ফান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞেস করেন ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে যে তার স্ত্রীর সাথে মিলন করে কিন্তু বীর্যপাত হয়না (তার বিধান কী, তাকে গোসল করতে হবে কী)?” জবাবে তিনি বলেন, “তার উপর গোসল আবশ্যক নয়।” তারপর তিনি বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এটা বলতে শুনেছি।”
রাবী বলেন, “তারপর আমি আলী বিন আবী তালিব, যুবাইর বিন আওয়াম, তালহা বিন উবাইদুল্লাহ এবং উবাই বিন কা‘ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম প্রমুখ সাহাবীদের জিজ্ঞেস করেছি, তাঁরাও অনুরুপ কথাই বলেছেন।”
আবূ সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন উরওয়া বিন যুবাইর এই মর্মে যে, তিনি আবূ আইয়্যূব আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে, তিনিও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেন।”[1]
উল্লেখ্য যে, ইসলামের প্রথম যুগে স্ত্রী সহবাস করার পর যদি বীর্যপাত না হতো , তাহলে গোসল করার বাধ্যবাধকতা ছিল না। পরবর্তীতে এই বিধান রহিত করা হয়। পরবর্তী বিধানে পুরুষের লিঙ্গের অগ্রভাগ নারীদেহে প্রবেশ করলেই গোসল ফরযের বিধান দেওয়া হয়, বীর্যপাত হোক অথবা না হোক। কিন্তু রহিতকারী পরিবর্তিত বিধান অনেক সাহাবীই জানতেন না। যার ফলে তাঁরা আগের বিধান মতেই ফাতাওয়া দিয়েছেন। বক্ষ্যমান হাদীসটি সেটাই প্রমান করে। রহিত হওয়ার ব্যাপারে আয়েশা বর্ণিত হাদীসে আছে:
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا سُئِلَتْ عَنِ الرَّجُلِ يُجَامِعُ، فَلَا يُنْزِلُ الْمَاءَ، قَالَتْ: فَعَلْتُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاغْتَسَلْنَا مِنْهُ جميعا.
আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহাকে জিজ্ঞেস করা হয় ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করে কিন্তু বীর্যপাত হয়না, তার গোসল করতে হবে কিনা, জবাবে তিনি বলেন: আমি ও আল্লাহর রাসূল এমনটা করে আমরা গোসল করেছি।” (সহীহ ইবনু হিব্বান: ১১৭৬; তিরমিযী: ১০৮; ইবনু মাজাহ: ৬০৮, হাদীস সহীহ।)
ذِكْرُ مَا كَانَ عَلَى مَنْ أَكْسَلَ فِي أَوَّلِ الْإِسْلَامِ سِوَى الِاغْتِسَالِ مِنَ الْجَنَابَةِ
1169 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى الْبِسْطَامِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ حَدَّثَهُ أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الْجُهَنِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَأَلَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ عَنِ الرَّجُلِ يُجَامِعُ فَلَا يُنْزِلُ فَقَالَ: لَيْسَ عَلَيْهِ غُسْلٌ ثُمَّ قَالَ عُثْمَانُ: سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَسَأَلْتُ بَعْدَ ذَلِكَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَالزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ وَطَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ وَأُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ فَقَالُوا مِثْلَ ذَلِكَ. قَالَ أَبُو سَلَمَةَ: وَحَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا أَيُّوبَ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم. الراوي : زَيْد بْن خَالِدٍ الْجُهَنِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1169 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.