পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৬০০-[৩৫] ’আওফ ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার প্রভুর কাছে থেকে একজন আগমনকারী (ফেরেশতা) আসলেন এবং তিনি (আল্লাহর পক্ষ হতে) আমাকে এ দুয়ের মধ্যে একটির ইচ্ছা স্বাধীনতা প্রদান করলেন, হয়তো আমার উম্মতের অর্ধেক সংখ্যা জান্নাতের সুযোগ গ্রহণ করুক অথবা আমি শাফা’আতের অধিকার গ্রহণ করি? অতঃপর আমি শাফা’আত গ্রহণ করলাম। অতএব তা ঐ সকল লোকের জন্য, যারা আল্লাহর সাথে অংশীস্থাপন না করে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের জন্য আমার শাফা’আত কার্যকারী হবে। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب الْحَوْض والشفاعة )
وَعَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَانِي آتٍ مِنْ عِنْدِ رَبِّي فَخَيَّرَنِي بَيْنَ أَنْ يُدْخِلَ نِصْفَ أُمَّتِي الْجَنَّةَ وَبَيْنَ الشَّفَاعَةِ فَاخْتَرْتُ الشَّفَاعَةَ وَهِيَ لِمَنْ مَاتَ لَا يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه حسن ، رواہ الترمذی (2441) و ابن ماجہ (4317) ۔ (صَحِيح)
ব্যাখ্যা: যে আগন্তুক রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে এসেছিলেন তিনি বড় মানের একজন মালাক (ফেরেশতা)। হাদীসে এই মালাক (ফেরেশতা)’র নাম উল্লেখ নেই, তবে প্রকাশ থাকে যে, তিনি জিবরীল হবেন না।
হাদীসের শব্দ (خَيَّرَنِي) তিনি আমাকে ইখতিয়ার দিলেন, এ ক্রিয়াবাচক শব্দের কর্তা আল্লাহ অথবা মালাক উভয়ই হতে পারে। তবে কর্তা মালাক হওয়া মাজায বা রূপকার্থে।
হাদীসের ভাষা আমার অর্ধেক উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করাবেন', এ উম্মত হলো উম্মতে ইজাবত অর্থাৎ যারা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর দাওয়াত কবুল করেছেন এবং শিরক থেকে আত্মরক্ষা করেছেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা.) এটা গ্রহণ না করে শাফা'আতের সুযোগ ইখতিয়ার করেছেন, কারণ এর পরিসর ব্যাপক এবং দীর্ঘসূত্রী। একজন মু'মিন ব্যক্তিও জাহান্নামে থাকা পর্যন্ত আল্লাহর রসূলের শাফা'আত চলবে। এ শাফা'আতের ফলে আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্যদানকারী উম্মাতের কেউ আর জাহান্নামে অবশিষ্ট থাকবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা. ২৪৪১, সুনানু ইবনু মাজাহ ৩য় খণ্ড, হা. ৪৩১১, ইন্টারনেট)